গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষক শহিদ মিয়া (৪২)। সে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। শহিদ মিয়া বর্তমানে উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের কদম আলীর বাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করছেন স্ত্রী সন্তান নিয়ে। কদম আলী শহিদ মিয়ার শশুর।
ছাত্রী (৯) বাবার বাড়ি শেরপুর জেলার নখলা উপজেলার পাইসকা গ্রামে। বর্তমানে ছাত্রী তার পরিবার সহ শ্রীপুর উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামে নানা জাবেদ আলী (ওরফে জদু) মিয়ার বাড়িতে বসবাস করে আসছে মা এবং ভাইদের সাথে।
ওই ছাত্রীর মা জানান, আমার দুই ছেলে এক মেয়ে, বড় ছেলে ফার্নিচারের দোকানে কাজ করে, ছোট ছেলে একটি হোটেলে কাজ করে, তাদের নিয়ে আমার বাবার বাড়িতে থেকে আমি রাজমেস্ত্রীর কার করি। আমার মেয়ে বাড়িতে একা থাকে। এই সুযোগে লম্পট শহিদ আমার মেয়েকে তার নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর স্বজনরা জানায়, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়পাড়া এলাকায় জাবেদ আলী (ওরফে জদু) মিয়ার দেয়া জমিতে ঘর নির্মাণ করে সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছে তার দরিদ্র মা। শিশু মেয়ে (৯) নানার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করে, সে স্থানীয় নয়াপাড়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
ওই মেয়ে বলেন বাড়িতে কেউ না থাকায় ভয় দেখিয়ে আমার চাচাত দুলাভাই কয়েদিন ধরে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করে আসছে। এতে আমি প্রায় সময় অসুস্থ্য হয়ে যাই স্কুলে যেতে পারিনা। ঘটনাটি দুই সপ্তাহ পূর্বে ঘটেছে। কিন্তু মেয়েটি ব্যথা সহ্য করতে না পারায় গত ১৫ জানুয়ারি তা প্রকাশ করে । পরে মেয়েটির পরিবার বিষয়টি মেয়ের কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে পারে।
পরে ওই মেয়েকে নিয়ে তার পরিবার মাওনা আল-হেরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মেডিকেলের এমবিবিএস ডা.মরিয়মের কাছ থেকে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষণকারি লম্পট শহিদ মিয়া পলাতক রয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শ্রীপুর থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি।
বহুমাত্রিক.কম