শিল্প এলাকায় উপস্থিত শ্রমিকদের দিয়েই কাল-কারখানা চালু করতে চান মালিকরা। এক্ষেত্রে গ্রামে অবস্থান করা শ্রমিকদের চাকরি হারানোর কোনো শঙ্কা নেই বলেও আশ্বস্ত করেছেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)।
ঈদুল আজহার একদিন পর থেকে চলছে টানা দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকরের সময় চলবে না সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানা। কিন্তু পোশাক শিল্পের মালিকদের দাবির মুখে হুট করে রোববার থেকে কারখানা চালু করার প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়।
পোশাক শিল্প মালিকরা বলছেন, কারখানা চালু করায় তাদের ক্ষতি কিছুটা কমবে।
অন্যদিকে গ্রাম থেকে কর্মস্থলে ফিরতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকরা। গণপরিবহন বন্ধ থাকালেও চাকরি হারানোর শঙ্কায় পায়ে হেঁটেই কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন তারা।
বিকেএমইএ সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘একটা লাইনে যদি আমার ৩০টা মেশিন থাকে, ৩০ জন ওয়ার্কার আমার লাগে। এই ৩০ জনের মধ্যে যদি একজনও অনুপস্থিত থাকে তাহলে কাজের ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়ে যায়। এরকম হলে উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব না। ‘ফলে এই জায়গাটা একটু কঠিন হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আমরা যাদেরকে পাব তাদেরকে নিয়ে একটা সমন্বয় করার চেষ্টা করব। কিন্তু তারপরও এটা অনেকটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে গ্রামে অবস্থান করা কর্মীদের চাকরি হারানোর শঙ্কা নাই। তারা লকডাউন পরবর্তীতে এসে কাজে যোগদান করতে পারবে।’
