ছবি : বহুমাত্রিক.কম
খুলনা : চারটি ক্যাটাগরীতে সেরা ৭৭ জন করদাতাকে সম্মাননা জানালো কর অঞ্চল-খুলনা। সোমবার দুপুরে নগরীর স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেরা করদাতাদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও সনদ তুলে দেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
কর অঞ্চল-খুলনার আওতাধীন খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও ১০টি জেলার সেরা করদাতাদের এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মেয়র বলেন, এক সময় বাংলাদেশের বাজেট ছিলো পরনির্ভরশীল বাজেট কিন্তু বর্তমান বাজেটের ৯০ শতাংশ আসে নিজস্ব আয় থেকে। এ ক্ষেত্রে করদাতাদের অপরিসীম অবদান রয়েছে। এই সম্মাননা করদাতাদেরকে আরো উৎসাহিত করবে।
দক্ষিণাঞ্চলসহ সমগ্র বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, উন্নয়নের অক্সিজেন হচ্ছে রাজস্ব, ২০৪১ সালের মধ্যে যদি আমরা এই দেশকে উন্নত বাংলাদেশে পরিণত করতে চাই তাহলে কর প্রদানকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই।
বর্তমানে মাত্র ৩৭ লাখ টিআইএনধারী রয়েছে কিন্তু এই সংখ্যা বাস্তবে অনেক বেশি হওয়ার কথা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জাতীয় রাজম্ব বোর্ডের সদস্য কালিপদ হালদার, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, কর আপীল অঞ্চল খুলনার কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ হাবিবুর রহমান, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মোঃ মোস্তবা আলী এবং খুলনার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর সভাপতি কাজি আমিনুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কর অঞ্চল-খুলনার কর কমিশনার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। স্বাগত জানান যুগ্ম কর কমিশনার মোঃ মঞ্জুর আলম। করদাতাদের পক্ষে মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান এবং ওয়াসির ফরহাদ জামান তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন ।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনসহ বিভাগের ১০ জেলার সর্বোচ্চ, দীর্ঘ মেয়াদী, সর্বোচ্চ মহিলা ও তরুণ সম্মাননা প্রাপ্ত ৭৭ জন সেরা করদাতা হচ্ছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মিজ সফরুন্নেসা, এসএম আজিজুল আলম ও আব্দুল হামিদ সরদার, মিজ রেহানা বেগম ও প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, আলেয়া বেগম ও কাজী সানোয়ার হোসেন। সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত ফুলতলার শেখ ইবাদত হোসেন, বটিয়াঘাটার মোঃ জিয়াউল আহসান, একই উপজেলার মোঃ শামীম আহসান, ফুলতলার গাজী হাফিজুর রহমান, বটিয়াঘাটার শেখ ইসলাম হোসেন, ফুলতলার মিজ রাবেয়া খাতুন ও পাইকগাছার মোঃ ইসতিয়ার রহমান (শুভ)। খুলনার জেলার সম্মাননা প্রাপ্তরা হচ্ছেন সাতক্ষীরার মোঃ আশিকুর রহমান (আশিক), খন্দকার আলী হায়দার, মোঃ আবু হাসান, মোঃ সামছুর রহমান, মোঃ আবুল কাশেম, মিজ সেলিনা সুলতানা শিউলী ও মোঃ সাজিদুল ইসলাম।
বাগেরহাটের মোঃ আনিসুর রহমান, মোঃ সোহেল কবীর, এখলাছুর রহমান, মোঃ নুরুজ্জামান ভূইয়া, হাফিজুর রহমান শেখ, মিজ লিপিকা রানী দাস ও মীর রহমত আলী। যশোরের আবু নাসের সরকার, দীপা রানী দত্ত, মোঃ আনছারী হোসেন সোহেল, মোঃ আব্দুল মান্নান, রহমান শামীম, মিজ জাহিদা আফরোজ লিন্ডা ও ওয়াসির ফরহাদ জামান। কুষ্টিয়ার মোঃ মজিবুর রহমান, মোঃ পারভেজ রহমান, মিজ সেলিনা বেগম, আহমেদ আলী এ্যাডভোকেট, মোঃ গোলাম মহিউদ্দিন, মিজ তানিয়া আফরোজ ও ইশতিয়াক আজাদ। মাগুরার মোঃ মকবুল হোসেন (মাকুল), মোঃ মেহেদী হাসান রাসেল, মোঃ শাহীনুর রহমান পিকুল, অভিজিত কুমার কুন্ডু, গোপাল চন্দ্র কর্মকার, মিজ সুপ্তি হক ও রবিউল। নড়াইলের মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ গিয়াস উদ্দিন খাঁন, সুবোধ কুমার রায়, এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, মিজ মিনতী রানী বোস ও মোঃ জাহিদুল ইসলাম। ঝিনাইদহের মোঃ মিজানুর রহামন লিটন, এম হারুন অর রশিদ, নিখিল কুমার পাল, মোঃ আব্দুর রহিম, মোঃ আমিনুল বাশার, মিজ জন্নাতুল ফেরদৌস ও মোঃ আতিকুল হাসান মাসুম। চুয়াডাঙ্গার দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, মিজ সবিতা আগরওয়ালা, মোঃ শহিদুল হক মোল্লা, মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ আব্দুল কাদের প্রধান, মিজ মারুফা হক ও সৈয়দ ফরিদ আহমেদ এবং মেহেরপুর জেলার মোঃ অজয় সুরেকা, মোঃ আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, মোঃ আব্দুল হান্নান, মোঃ আব্দুল আউয়াল শ্যাম সুন্দর আগরওয়ালা, মিজ হামিদা খানম ও মোঃ শহিদুল ইসলাম।
বহুমাত্রিক.কম