দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে অবজারবেশন ইউনিট থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা এখন ভালো এবং মাথার একপাশের প্যারালাইজড অবস্থার উন্নতি হয়েছে।শনিবার ওয়াহিদার দায়িত্বরত চিকিৎসক এ কথা বলেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবারই ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় আসামি রবিউলের ছয় দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে তোলা হয়।
জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আঞ্জুমান আরা বেগমের আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এ সময় জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে বিচারকের খাস কামরায় তার জবানবন্দি নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, রবিউলকে আদালতে তোলা হয়, আর সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রযুক্তির সহায়তায় রবিউলকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজের দোষ স্বীকার করে বলে জানায় পুলিশ।
এদিকে, এ মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা (বহিষ্কৃত) আসাদুল ইসলামকে ৭ দিনের রিমান্ড শেষে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক। তদন্তকারী কর্মকতা নতুন করে রিমান্ড আবেদন না করায় বিচারক এ আদেশ দেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে সে ৭ দিনের রিমান্ডে ছিল।
গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে ভেতরে ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়। ইউএনও ঢাকায় ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।