Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১৩ ১৪৩১, শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪

অবিলম্বে দলই চা-বাগান চালু করে মজুরি-রেশন পরিশোধের দাবি

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:৪৪, ১০ আগস্ট ২০২০

প্রিন্ট:

অবিলম্বে দলই চা-বাগান চালু করে মজুরি-রেশন পরিশোধের দাবি

সাম্প্রতিক ছবি

অবিলম্বে কমলগঞ্জ উপজেলার দলই চা-বাগান চালু করে শ্রমিকদের মজুরি ও রেশন পরিশোধের দাবি করেছেন চা-শ্রমিক সংঘ মৌলভবাজার জেলা কমিটির আহবায়ক রাজদেও কৈরী এবং যুগ্ম-আহবায়ক হরিকিষণ হাজরা।

১০ আগষ্ট গণমাধ্যমে পাঠানো একযুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা মহামারিকালীন দুর্যোগের সময়ে ধলই চা-বাগান কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে শ্রমআইন লঙ্ঘন করে আকম্মিকভাবে কোন রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গত ২৭ জুলাই রাত থেকে অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য বাগান বন্ধের নোটিশ প্রদান করেন। এরপর কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ, শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ২৯ জুলাই, ৪ আগষ্ট এবং ৮ আগষ্ট তিন দফায় বৈঠক করেও বাগান চালু করা হয়নি।

উপরন্তু বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের শান্ত করতে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসন শ্রমিকদেরকে আশ্বাসের পর আশ্বাস দিয়ে চলেছেন। নেতৃবৃন্দ প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ার আহŸান জানিয়ে বলেন দলই চা-বাগানের স্থায়ী অস্থায়ী মিলিয়ে হাজারো শ্রমিকের জীবন ও জীবিকা রক্ষার্থে ধলই চা-বাগানের লিজ বাতিল করে বাংলাদেশ চা-বোর্ডের অধীনে নিয়ে বাগান চালু করা হোক। একই সাথে দলই চা-বাগানের মালিক রাগীব আলীকে চা-বাগান পরিচালনায় অনুপোযুক্ত ঘোষণা করে তার মালিকাধীন মালনীছড়া চা-বাগান, রাজনগর চা-বাগানসহ সকল চা-বাগানকে চা বোর্ডের আওতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

নেতৃবৃন্দ দলই চা-বাগনের শ্রমিকরা অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে উল্লেখ নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রশাসনের উদ্যোগে সর্বশেষ ৩০ জুলাই শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মজুরি পরিশোধ করা হলেও রেশন প্রদান করা হয়নি। এরপর থেকে ১১ দিন যাবত শ্রমিকরা মজুরি ও রেশন না পেয়ে অন্যান্য বাগানের শ্রমিকদের সহযোগিতায় কোনরকমে দিনাতিপাত করছেন।

উল্লেখ্য বাগান কর্তৃপক্ষ গত ২৭ জুলাই রাত থেকে শ্রমআইনের ১৩ ধারা অনুয়ায়ী অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য বাগান বন্ধের নোটিশ প্রদান করেন। বাগান কর্তৃপক্ষ ২৭ জুলাইও পরদিন বিদ্যুত থাকবে না বলে শ্রমিকদেরকে অতিরিক্ত হিসেবে তিনগুণ কাজ করতে বাধ্য করেন। নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ শ্রমআইন-২০০৬ এর ১৩ ধারার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন শ্রমিকদের বেআইনী ধর্মঘটের কারণে মালিকপক্ষ তার প্রতিষ্ঠান আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে পারবেন।

কিন্তু যেহেতু দলই চা-বাগানের উৎপাদন অব্যাহত ছিল, এমন কি ২৭ জুলাইও শ্রমিকরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নির্বিঘ্নে অতিরিক্ত কাজ করেছেন সেহেতু কর্তৃপক্ষ শ্রমআইনের ১৩ ধারার অপপ্রয়োগ করে শ্রমআইন লঙ্ঘন করেছেন। মালিকপক্ষের বেআইনী এই সিদ্ধান্তের জন্য তাদের বিরুদ্ধে শ্রমআইন ও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আহবান জানান। অবিলম্বে দলই চা-বাগান চালুর দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন ধলই চা-বাগান চালু না করা হলে সমগ্র চা-শিল্পে শ্রম অসন্তোষ সৃষ্টি হলে তার দায় মালিকপক্ষ নিতে হবে। শ্রমিকদের ব্যবহার করে বাগান কর্তৃপক্ষ ও যেকোন স্বার্থান্বেশী মহলের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার অপচেষ্ঠার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের সজাগ ও সর্তক থাকার আহবান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন চা-বাগান রক্ষায়ু শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থেকে মজুরি বৃদ্ধিসহ নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer