ছবি: সংগৃহীত
করোনা মহামারী চিকিৎসা ক্ষেত্রে চাহিদার বিপরীতে উদ্ভাবন বাড়াতে সাহায্য করেছে বলে অভিমত দেন প্রতিরক্ষা সচিব।
মহামারী বিরোধী লড়াইয়ে ভারত অন্যতম বৃহত্তম শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার। তিনি বলেন, ভারত শুধু নিজ দেশেই নয়, মিত্র রাষ্ট্র গুলোতেও মহামারী বিরোধী লড়াইয়ে সাহায্য করে চলেছে।
গত ২৩ জুন, বুধবার, রাশিয়ার মস্কোতে নবম আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিষয়ক সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামরিক সংস্থা গুলোর ভূমিকা’ -শীর্ষক আলোচনায় এসব বক্তব্য তুলে ধরেন অজয় কুমার। তিনি বলেন, “করোনা মহামারীর মতো সঙ্কটের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে মিত্র রাষ্ট্রগুলোর একে অন্যের প্রতি সক্রিয় সহযোগিতা, গবেষণা ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব এবং উপকারের মাধ্যমে একে অন্যের শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে।”
মহামারী মোকাবেলায় অন্যান্য দেশগুলোকে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে প্রতিরক্ষা সচিব বলেন, “ভারত কেবল নিজ দেশেই নয়, মিত্র রাষ্ট্রগুলোতেও মহামারী বিরোধী লড়াইয়ে সাহায্য করে চলেছে। এমনকি চিকিৎসা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চাপের সময়েও ভারত মিত্র রাষ্ট্রসমূহকে সমর্থন জুগিয়েছে। এটি ভারতের প্রাচীন বিশ্বাস, ‘বাসুদাইভা কুতুম্বকাম’ এর সরল প্রতিফলন। আমরা বিশ্বাস করি বিশ্ব এক পরিবার।”
এমনকি, পিছিয়ে থাকা মিত্র রাষ্ট্র সমূহকে চিকিৎসা সহায়তা দেয়ার জন্য ভারত ‘র্যাপিড রেস্পন্স মেডিকেল টিম’ গঠন করেছে বলেও জানান তিনি। অজয় কুমার আরও বলেন, “প্রায় ১৫০ টি দেশে আমরা চিকিৎসা সেবা এবং সরঞ্জাম সরবরাহ করেছি। পাশাপাশি ১২০ টিরও বেশি দেশে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে প্যারাসিটামল এবং হাইড্রোক্সিলোকোরোইন সরবরাহ করেছি।” এছাড়াও, লকডাউনকালে বিভিন্ন দেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে নিতে এবং গন্তব্যস্থলে পৌছে দিতে নিজেদের ‘বন্দে ভারত’ মিশনের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
প্রতিরক্ষা সচিব বলেন, ভারত আজ মহামারী বিরোধী লড়াইয়ে ব্যবহৃত শিল্পের বিকাশে অন্যতম প্রধান ক্ষেত্রে। পিপিই কীট উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহত্তম আজ ভারত। তাছাড়াও, সারা বিশ্বজুড়েই আমরা মেডিকেল সরঞ্জামাদি, যেমন ওষুধ, ভ্যাকসিন, ভেন্টিলেটর, ডায়াগনস্টিক কীট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী সরবরাহ করেছে। তাছাড়া, বিশ্বব্যাপী আমরা প্রায় ৬৬ মিলিয়ন ডোজ করোনা ভ্যাকসিনও সরবরাহ করেছি, যা অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি।”