
ছবি: সংগৃহীত
ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভার সিদোয়ারজো শহরে গত সপ্তাহে একটি ইসলামী বোর্ডিং স্কুলের ধসে পরে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে পৌঁছেছে। দেশটির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা সোমবার একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, উদ্ধারকারীরা প্রায় সব ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে এবং তারা নিহতদের অধিকাংশের শরীরের অংশও পেয়েছেন। ঘটনার সময় ভবনে অনেক শিক্ষার্থী নামাজরত অবস্থায় ছিলেন।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার পরিচালক যুধি ব্রামান্ত্যো জানিয়েছেন, রবিবার সকাল পর্যন্ত ১৪১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের ১০৪ জনের অবস্থা সংকটমুক্ত। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৩৭ জন ছিল মৃত
আল খোজিনী স্কুলের ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রধানত কিশোর বয়সী ছেলেরা চাপা পড়েছিল, যাদের বেশিরভাগই মৃত্যুবরণ করেছে। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া অনেক ছাত্রকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গতকাল রবিবার রাতে এক্সকাভেটর ব্যবহার করে উদ্ধারকর্মীরা প্রায় ৮০ শতাংশ ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেন এবং নিহতদের দেহাংশ খুঁজে পান বলে সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে। অনুসন্ধান অব্যাহত থাকবে এবং আরো নিখোঁজদের খোঁজ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
ভিডিও ফুটেজে উদ্ধারকর্মীদেরকে স্কুলের ধ্বংসস্তূপ থেকে কমলা রঙের মরদেহের ব্যাগ বের করতে দেখা গেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, স্কুলের ভিত্তি উপরতলার নির্মাণকাজের চাপ নিতে না পারায় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ৪২ হাজার ইসলামী স্কুল রয়েছে, যা স্থানীয়ভাবে ‘পেসানতর’ নামে পরিচিত। দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে মাত্র ৫০টি স্কুলের বিল্ডিং পারমিট রয়েছে। দেশটির জনসাধারণের কাজের মন্ত্রী ডোডি হাঙ্গোদো স্থানীয় মিডিয়াকে জানিয়েছেন, ‘এই স্কুলের পারমিট ছিল কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।