
ফাইল ছবি
এখন থেকে বৃটেনে ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীরা বাজে কারাগার বা দুর্বল স্বাস্থ্যসেবার অজুহাত দেখিয়ে আর নির্বাসন এড়াতে পারবে না। তবে কাউকে নির্যাতন বা অমানবিক আচরণের আশঙ্কা রয়েছে এমন দেশে পাঠানো যাবে না, কনভেনশন অন হিউম্যান রাইটস এর ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে এমন উল্লেখ থাকলেও এই অনুচ্ছেদ নতুনভাবে বিবেচনা করা দরকার বলে মনে করেন বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার। সম্প্রতি বিবিসি ও রেডিও৪-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
সাক্ষৎকারে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অভূতপূর্ব মাত্রায় অভিবাসন বেড়েছে এবং আইনকে বর্তমান বাস্তবতার সাথে মানানসই করতে হবে। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, যারা সত্যিকার অর্থে নির্যাতন থেকে পালিয়ে এসেছে, তাদের আশ্রয় দেওয়া অব্যাহত থাকবে। তিনি মানবাধিকার আইন ধ্বংস করতে চান না। যারা সত্যিই নির্যাতন থেকে পালিয়ে আসছে, তাদের আশ্রয় দেওয়া মানবিকতার কাজ।
কাউকে সরাসরি মৃত্যুদণ্ডের মুখে পাঠানো আর ভিন্ন মাত্রার কারাগার বা স্বাস্থ্যসেবা থাকা দেশে ফেরত পাঠানো এক বিষয় নয়। তার মতে, শুধু ইসিএইচআর–এর ৩ ও ৮ নম্বর অনুচ্ছেদই নয় (যেখানে নির্যাতন নিষিদ্ধ এবং ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের অধিকার সুরক্ষিত) বরং জাতিসংঘের শরণার্থীদের অবস্থান সংক্রান্ত কনভেনশন বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
স্টারমার আরো দাবি করেন, ছোট নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া শরণার্থীদের ফেরত পাঠানো এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। ব্রেক্সিটের আগে ডাবলিন রেগুলেশন থাকায় যুক্তরাজ্য ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীদের অন্য ইউরোপীয় দেশে ফেরত পাঠাতে পারত, কিন্তু ২০২১ সালের জানুয়ারির পর সেই সুযোগ নেই।
স্টারমারের আশ্রয় ও নির্বাসন নীতিতে বড় পরিবর্তনের নিয়ে মানবাধিকার আইনজীবী শামি চক্রবর্তী এ নিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করে বলেন আদালত খুবই বিরল ক্ষেত্রে নির্বাসন স্থগিত করে।