
ফাইল ছবি
শেষ মুহূর্তে একটি বিল পাস করতে ব্যর্থ হয়েছেন মার্কিন সিনেটররা। এর ফলে সরকারি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার (শাটডাউন) ঝুঁকি এখন কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেছে। এর প্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউস তার ওয়েবসাইটে কাউন্টডাউন চালু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যরাত থেকে খরচ খাতের তহবিল বন্ধ হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি ২০১৮-১৯ সালের পর প্রথম শাটডাউন হতে পারে। এর ফলে সব নয়, কিছু মার্কিন সরকারি সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, শাটডাউন হলে সরকারি কর্মচারীদের ব্যাপক ও ‘অপ্রতিরোধ্য’ ছাঁটাই করা হবে। রিপাবলিকান সিনেটর জন থুন বলেন, এর কাছে রিপাবলিকানরা ‘জিম্মি’ হবে না।
অন্যদিকে, সিনেটের শীর্ষ ডেমোক্রেট চাক শুমার অভিযোগ করেন, রিপাবলিকানরা ‘মিথ্যা বলছে।’ এক দমকল কর্মী এবং তিন সন্তানের সিঙ্গেল পিতা বিবিসিকে বলেন, শাটডাউন হলে তিনি হয়তো ভাড়া নেয়া বাড়ির ভাড়া দিতে পারবেন না। সাধারণত শাটডাউনের অধীনে জরুরি কর্মীরা কাজ চালিয়ে যান। তবে তা অনেক সময় বিনা বেতনে। তবে যাদেরকে অত্যাবশ্যক নয় বলে মনে করা হয়, তারা সাময়িকভাবে বিনা বেতনে ছুটিতে যেতে বাধ্য হন।
শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিএলএস)-এর মাসিক চাকরির রিপোর্ট অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এ রিপোর্টে চাকরি সৃষ্টি প্রায় স্থবির দেখা গেছে, যার জেরে ট্রাম্প এই সংস্থার প্রধানকে বরখাস্ত করেন। কিন্তু শ্রম মন্ত্রণালয়ের কন্টিনজেন্সি পরিকল্পনা অনুযায়ী, ব্যুরোর কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। তথ্য সংগ্রহ ও রিপোর্ট প্রকাশ দুটোই বন্ধ থাকবে। শাটডাউনের ফলে আমেরিকার অর্থনীতি নিয়ে যে অনিশ্চয়তা আগে থেকেই ছিল- শুল্ক, সরকারি ব্যয় কমানো, অভিবাসন অভিযান এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব, তার ওপর নতুন এক মাত্রা যোগ হলো।