
ছবি: সংগৃহীত
দুর্গাপুজার ছুটির মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় ভারতের সঙ্গে চালু রাখা হয়েছে ইলিশ রফতানি প্রক্রিয়া ও পাসপপোর্টধারী যাতায়াত।মঙ্গবার বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ২ ট্রাক ইলিশের রফতানি বাণিজ্য হয়েছে। এসময় দুই দেশের মধ্যে ১৫০১ জন দেশ-বিদেশি পাসপোর্টধারী যাতায়াত করেছে।বুধবার সকালে বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন বেনাপোল রুটে বাণিজ্য ও পাসপোর্টধারী যাতায়াতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বন্দরের তথ্য মতে, মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়। এদিন পূজার ছুটিতে আমদানি বন্ধ থাকলেও ২ ট্রাক ইলিশের রফতানি বাণিজ্য হয়েছে।
বেনাপোল আমদানি, রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, ৫ আগস্টের পর দুই দেশের একের পর এক বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞায় আমদানি রফতানি ও পাসপোর্টধারী যাতায়াত অর্ধেকের নিচে নেমেছে। এতে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন।বেনাপোল বন্দর মৎস ও মাননিয়ন্ত্রণ অফিসের ইন্সেসপেক্টর আসাওয়াদুল ইসলাম জানান, পূজার মধ্যে তাদের অফিস খোলা আছে। বিশেষ নির্দেশনায় ইলিশের ট্রাক ঢুকতে পারবে ভারতে।
ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, ভোর সাড়ে ৬ টা থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে শুরু হয় পাসপোর্টধারী যাতায়াত। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬ টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে মোট যাতায়াত করেছে ১ হাজার ৫০১ জন। এদের মধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে গেছে ৮৯১ জন এবং ভারত থেকে ফিরেছে ৬১০ জন। ভারতে যাওয়া পাসপোর্টধারীদের মধ্যে ৫৯৬ জন বাংলাদেশি ও ভারতীয় নাগরিক ছিল ২৯৫ জন।
৫ আগস্টের পর ভিসা জটিলতায় পাসপোর্টধারী যাতায়াত কমে যায়। পূজা উপলক্ষে যাতায়াত ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।এদিকে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, চলতি মাসের ২৪ সেপ্টেম্বরের পর থেকে এ পর্যন্ত রেলপথে ভারত থেকে কোনো পণ্য আমদানি হয়নি। এছাড়া গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে ঢাকা-বেনাপোল-কলকাতা রুটে যাত্রীবাহী রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।