ফাইল ছবি
এতে বলা হয়, ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে পারমাণবিক কর্মসূচি পরিচালনার অভিযোগ এনেছে বৃটেন, জার্মানি এবং ফ্রান্স। দেশটির বিরুদ্ধে তথাকথিত চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তবে ইরানের অভিযোগ আইন অমান্য করে তাদের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্র। এ কারণে পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শন স্থগিত করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তার দেশের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো আগ্রহ নেই। পুনরায় তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় এর নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। একে অন্যায্য এবং অবৈধ বলে উল্লেখ করেছেন মাসুদ।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে বিরত রাখতে দ্য জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামের যৌথ চুক্তি করে পশ্চিমাদেশগুলো। এর মাধ্যমে তেহরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। কোনো রকম পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করে শুধুমাত্র জনকল্যাণে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অনুমতি ছিল সীমিত। কিন্তু ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তি থেকে সরিয়ে নেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এর পর পুনরায়া ইউরেনিয়াম বৃদ্ধিতে মনোযোগ দেয় তেহরান। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে হওয়ার চুক্তিটিকে ত্রুটিপূর্ণ বলে ক্রমাগত সমালোচনা করেন ট্রাম্প। সেসময় থেকে নতুন করে চুক্তি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে আসছেন তিনি।
জুনে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর এই কর্মসূচিতে আরও অগ্রগতি প্রয়োজন বলে মনে করেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। তারা বারবার পারমাণবিক কর্মসূচি অব্যাহত রাখার বিষয়ে মত দিয়ে আসছে। এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও তাদের সমর্থিত প্রক্সি গ্রুপগুলোকে দুর্বল করতে দেশটিকে পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে দূরে রাখতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। এলক্ষ্যেই জুনে বি-২ শক্তিশালী বোমারু বিমান দিয়ে স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানো হয়। ট্রাম্পের দাবি ওই হামলার মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে ওই হামলার কড়া সমালোচনা করেছে ইরান। বলেছে, এমন হামলা চুক্তির প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থনকে অযৌক্তিক করে তুলেছে।
