![সুইডেনকে ন্যাটোতে যোগদানে অনুমতি দিয়েছে হাঙ্গেরি সুইডেনকে ন্যাটোতে যোগদানে অনুমতি দিয়েছে হাঙ্গেরি](https://www.bahumatrik.com/media/imgAll/2018September/sweden-2402271111.jpg)
ফাইল ছবি
সামরিক জোট ন্যাটোতে সুইডেনের যোগদানের বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জোটটি অন্যতম সদস্য হাঙ্গেরি। এ অনুমোদনের ফলে সুইডেনের ন্যাটোর সদস্য পদ পেতে আর কোনো বাধা থাকল না।
হাঙ্গেরির এ অনুমোদনের প্রতিক্রিয়ায় সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সুইডেন গত ২০০ বছরের সামরিক নিরপেক্ষতাকে পেছনে ফেলতে যাচ্ছে। আমরা যা আছি এবং যা কিছুতে বিশ্বাস করি সেগুলোকে ভালোভাবে রক্ষা করার জন্য আমরা ন্যাটোতে যোগ দিচ্ছি। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, সোমবার এ অনুমোদন দিয়েছে হাঙ্গেরি পার্লামেন্ট।
সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্যদের সঙ্গে নিয়ে একত্রে আমাদের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মূল্যবোধ রক্ষা করতে আমরা ন্যাটোতে যাচ্ছি। সুইডেন ন্যাটোর সদস্য হোক এটি স্বাভাবিকভাবেই রাশিয়া পছন্দ করবে না, আর আমরা জানিও না তারা কী করছে। তবে আমরা সবকিছু মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছি।
ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ হাঙ্গেরির এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক বার্তায় লেখেন, সুইডেনের সদস্য পদ আমাদের সবাইকে শক্তিশালী ও নিরাপদ করে তুলবে।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে সুইডেন তার সামরিক নিরপেক্ষতার নীতিকে বাদ দিয়ে বৃহত্তর নিরাপত্তার জন্য ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে।
প্রাথমিকভাবে কুর্দি ইস্যুতে তুরস্ক সুইডেনের ন্যাটো সদস্য পদে প্রাপ্তিতে বাধা দেয়। পরবর্তী সময়ে এ পথে মূল বাধা হয়ে দাঁড়ায় রাশিয়ার মিত্র হিসেবে পরিচিত হাঙ্গেরি। ন্যাটোর অন্য মিত্রদের চাপেই হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সরকার সুইডেনের পক্ষে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
এর আগে শুক্রবার সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীর হাঙ্গেরি সফরের সময় এ দুই দেশের মধ্যে একটি অস্ত্র ক্রয়ের চুক্তি হয়েছে।