ফাইল ছবি
ঢাকা : সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে আসন্ন কোরবানির ঈদের সময় পশুবাহী ট্রাকে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে যানজট নিয়ন্ত্রণে ঈদের আগে ৭ দিন ও ঈদের পর ৭ দিন সুনির্দিষ্ট আগাম তথ্য ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মহাসড়কে যানবাহন না থামানোর অনুরোধও জানানো হয়েছে।
এছাড়া ঈদের আগের ৩ দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মোট ৩৩টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বিগত সময়ের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যে ঈদের সময় ড্রাইভাররা পশু পরিবহনের পর খালি ট্রাকে যাত্রী বহন করে থাকেন। এছাড়া পণ্যবাহী ট্রাকেও যাত্রী বহন করা হয়। ফলে সড়ক দুর্ঘটনায় অপ্রত্যাশিত প্রাণহানি ঘটে। এ প্রেক্ষাপটে কোনো অবস্থাতেই ট্রাকে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটারের নিচে গতিসম্পন্ন গাড়ি কোনো অবস্থাতেই মহাসড়কে চলাচল করতে পারবে না। পুলিশ, র্যাব, জেলা প্রশাসন, বিআরটিএ, ট্রাক মালিক ও শ্রমিক সমিতিকে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সব শ্রেণির মহাসড়কে মোটরযান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে আসন্ন ঈদের ১০ দিন আগেই প্রয়োজনীয় মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শেষ করতে হবে।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও রাজধানীর মহাখালী, সায়েদাবাদ ও গাবতলী বাস টার্মিনালের জন্য আন্তঃসংস্থা ভিজিলেন্স টিম গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ টিমগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল পরিবহন, বাসের ছাদ ও ট্রাকে যাত্রী পরিবহন না করাসহ যে কোনো পরিস্থিতি সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে- মহানগরী এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর ও উভয় পাশের অস্থায়ী বা ভাসমান বাজার অপসারণ করতে হবে। ধান, পাট, খড়, কাঠ ইত্যাদি শুকাতে দেওয়া যাবে না। লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। নসিমন, করিমন, ইজিবাইক চলাচল না করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া ঈদের আগের ৩ দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য, পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টস সামগ্রী, ওষুধ, কাঁচা চামড়া এবং জ্বালানি বহনকারী যানবাহন এর আওতামুক্ত থাকবে।