ফাইল ছবি
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দল রংপুর রাইডার্সকে বিদায় করে চতুর্থবারের মতো ফাইনালে বরিশাল।বিপিএলের প্রথম আসরে ২০১২ সালে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে বরিশাল বার্নাস। এরপর ২০১৫ সালে তৃতীয় আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে হেরে রানার্সআপ হয় বরিশাল বুলস। ২০২২ সালে অষ্টম আসরেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে হেরে যায় ফরচুন বরিশাল।
এবার ১০ম আসরের ফাইনালেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে পেল ফরচুন বরিশাল। শুক্রবার সন্ধ্যায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হবে বরিশাল-কুমিল্লা।লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন কুমিল্লা প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে যায়। আজ বুধবার মিরপুরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ৭৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যাওয়া রংপুরকে গর্ত থেকে টেনে তুলেন শামীম পাটোয়ারি।
তিনি মাত্র ২৪ বলে ৫টি চার আর ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। তার কল্যাণেই একশ রানের আগে অলআউটের শঙ্কা পড়ে যাওয়া রংপুর শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৪৯ রান করে। ১২০ বলে ১৫০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে সাবধানী শুরু করে বরিশাল। সাবধানী শুরুর পরও ২২ রানে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মেহেদি হাসান মিরাজের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বরিশাল।
এরপর সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে ৩৭ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ১৮ বল খেলে দুই চার আর এক ছক্কায় ২২ রান করে ফেরেন সৌম্য সরকার। তৃতীয় উইকেটে কাইল মায়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে ২৭ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। ব্যাটিংয়ে নেমে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৫ বলে এক চার আর ৩টি ছক্কায় ২৮ রান করে ফেরেন মায়ার্স।
এরপর ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে ২৪ বলে ৩১ রানের অনবদ্য জুটি গড়ে ৯ বল আগেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মুশফিকুর রহিম। দলের জয়ে ৩৮ বলে ৬টি চার আর ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন মুশফিক।১৮ বলে ২ রান করেন মিলার।