
ফাইল ছবি
সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শনিবার লিটন কুমার দাসকে অধিনায়ক করে নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পাশপাশি ফিরেছেন তামিম ইকবালও।
এ দিকে এই সিরিজে বিশ্রামে রাখা হয়েছে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও তাসকিন আহমেদসহ একাধিক নিয়মিত ক্রিকেটারকে।
গত মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে জায়গা পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সে সিরিজের তিন ম্যাচেই মাঠে নেমে মোট ৭১ রান করেছিলেন তিনি। এরপরে আর বাংলাদেশের জার্সিতে ওয়ানডে খেলা হয়নি তার। এবার দীর্ঘ ছয় মাস পরে আবারও সুযোগ পেলেন তিনি।
এ দিকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ৭ নম্বর পজিশন নিয়ে সমস্যা বেশ পুরোনো। এশিয়া কাপেও এই পজিশনে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি কেউ। তাই আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজ জন্য মাহমুদউল্লাহকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই সিরিজে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার সাড়া জাগাতে পারলে বিশ্বকাপেও দেখা যেতে পারে তাকে।
জাতীয় দলের হয়ে ৭ নম্বর পজিশনে ৭১ ইনিংসে ব্যাট করেছেন মাহমুদউল্লাহ। ৩৪.৭১ গড়ে করেছেন প্রায় ১৬শ' রান। নামের পাশে আছে ৮ ফিফটি। বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে এই পজিশনে তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা বা রান করার নজির নেই আর কারও।
২০০৭ সালের জুলাইয়ে ওয়ানডে দিয়ে জাতীয় দলে আগমন ঘটেছিল রিয়াদের। ওই বছরই টি-টোয়েন্টির জার্সিতে অভিষেক হয় তার, প্রথম টেস্ট খেলেন আরও দুবছর পর। সেই রিয়াদ ধীরে ধীরে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ফিনিশারে পরিণত হন। ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৩ রান করার পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেন ১২৮ রান।২১৮ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩ সেঞ্চুরিতে রিয়াদ করেছেন ৪ হাজার ৯৫০ রান। ৫০ টেস্টে ৫ সেঞ্চুরিতে তার রানসংখ্যা ২ হাজার ৯১৪। ১২১ টি-টোয়েন্টিতে তার রান ২ হাজার ১২১।