ছবি-সংগৃহীত
মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনস্থ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিলের সাথে যুক্ত হচ্ছে পরিশোধিত বকেয়া মাসের বিল। এসব বিল পরিশোধে কর্মব্যস্ত ও দূর-দূরান্তের গ্রাহকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
ব্যাংক ও বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে শত শত গ্রাহকরা ধর্না দিয়ে বিল সংশোধন করছেন। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা গ্রাহকদের হয়রানির তোয়াক্কা না করেই অব্যাহতহারে বকেয়া মাসের বিল সংযুক্ত করে চলেছেন।
জানা যায়, মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনালের অধীনস্থ কমলগঞ্জ উপজেলা এবং কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলা একাংশ মিলিয়ে প্রায় ৫২ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। সম্প্রতি সময়ে বিদ্যুৎ বিলের সাথে বকেয়া বিল সংযুক্ত করা হচ্ছে। তবে গ্রাহকদের অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকদের বকেয়া বিল পরিশোধ রয়েছে এমন গ্রাহকেরও পরিশোধিত বিলের সাথে বকেয়া মাসের বিল সংযুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া বকেয়া মাসের বিল সামান্য হলেও বকেয়া বিল সংযুক্ত থাকায় প্রতিটি গ্রাহকদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
ব্যাংকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের প্রমাণপত্র দেখালেও চলতি মাসের বিল পরিশোধ সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের ফেরত পাঠাচ্ছে। ফলে বিদ্যুৎ বিলের কপি সংশোধনের জন্য দূর-দূরান্ত থেকেও কাজকর্ম ফেলে উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে ধর্না দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের । শত শত গ্রাহকের ভিড় থাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা অফিসে গ্রাহকদের ভিড় করতে হচ্ছে। কোন কোন সময়ে অফিস কর্মচারীদের সাথেও বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হচ্ছে।
কর্মব্যস্ত কেউ কেউ বিল পরিশোধিত থাকার পরও অফিসে যেতে না পারায় ব্যাংকে বকেয়া বিল সংযুক্ত কপির সাথে পুনরায় বিল পরিশোধ করছেন। শমশেরনগর বাজার ব্যবসায়ী শাহজাহান আহমদ বলেন, তিনি বিল পরিশোধ করার পর প্রস্তুতকৃত বিলের সাথে বকেয়া বিল সংযুক্ত করা হয়েছে।
শ্রীসূর্য এলাকার গ্রাহক জয়নাল খান বলেন, বকেয়া মাসের বিল পরিশোধের পরও নতুন বিলের সাথে বকেয়া মাসের বিল সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে অফিসে গিয়ে ভোগান্তি পেয়ে তা সংশোধন করতে হয়েছে। এভাবে প্রতিদিন শত শত গ্রাহক ব্যাংক ও বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মোবারক হোসেন বকেয়া বিল সংযুক্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সেন্ট্রাল অফিস থেকে নির্দেশনা আসায় আমাদের এভাবে বিল তৈরী করতে হচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকবে। তবে ব্যাংকে বিল পরিশোধ করলে অফিসে আসতে কয়েকদিন সময় লেগে যায়। সে কারণে দু’একটি বিলে কিছু ত্রুুটি বিচ্যুতি হতে পারে।
বহুমাত্রিক.কম