
পঞ্চম বা শেষ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে ২৯টি পৌরসভার মধ্যে ২৭টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বিএনপি একমাত্র বগুড়া পৌরসভায় জয় পেয়েছে। এখানে বিজয়ী হয়েছেন রেজাউল করিম বাদশা। এ ছাড়া রংপুরের হারাগাছ পৌরসভায় স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থী এরশাদুল হক বিজয়ী হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের যারা বিজয়ী হয়েছেন- চট্টগ্রামের বারইয়ারহাটে রেজাউল করিম, মিরসরাইয়ে মো. গিয়াসউদ্দিন (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আশরাফুল আলম, ভোলায় মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, চরফ্যাসনে মো. মোরশেদ, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে গিয়াস উদ্দিন রুবেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নায়ার কবির, মানিকগঞ্জের সিংগাইরে আবু নাঈম বাশার, যশোরের কেশবপুরে রফিকুল ইসলাম মোড়ল, রাজশাহীর দুর্গাপুরে তোফাজ্জল হোসেন, চারঘাটে এনামুল হক, ঝিনাইদহের মহেশপুরে আব্দুর রশিদ খান, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শাহজাহান সিকদার, কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইফতেখার হোসেন বেনু, জামালপুরে সানোয়ার হোসেন সানু, মাদারগঞ্জে মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির, ইসলামপুরে আব্দুল কাদের শেখ, ময়মনসিংহের নান্দাইলে রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া, গাজীপুরের কালীগঞ্জে এসএম রবীন হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে আব্দুর রশিদ খান, জয়পুরহাটে মোস্তাফিজুর রহমান, চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে আব্দুল লতিফ, মতলবে আওলাদ হোসেন লিটন, মাদারীপুরে খালিদ হোসেন ইয়াদ, শিবচরে আওলাদ খান, হবিগঞ্জে আতাউর রহমান ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে রাফিকা জাহান আক্তার বেবি।
এদিকে, রোববার পৌরসভা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, কমিশন সব সময় চায়, প্রতিটি ব্যক্তি, প্রতিটি দল নির্বাচনে অংশ নিক। আমাদের কাছে যে সহযোগিতা চাইবেন, ইসি সে বিষয়ে সহযোগিতা দেবে।
রোববার ভোটগ্রহণের মধ্যেই বিএনপির বেশ কয়েকজন মেয়র প্রার্থী অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, যদি কেউ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে, এটি নিতান্তই তার ইচ্ছা। তিনি করতেই পারেন। তিনি যদি আমাদের অভিযোগ করেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।
তবে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে দাবি করে ইসি সচিব বলেন, ২৯টি পৌরসভা এবং চারটি উপজেলায় উপনির্বাচন হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মনিটরিং সেল থেকে প্রতি ঘণ্টায় রিপোর্ট পেয়েছি। তাতে বুঝতে পেরেছি, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে। আমি মনে করি, ভোট ভালো হয়েছে।
সৈয়দপুরে একজনের মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, নিঃসন্দেহে কোনো মৃত্যুই কাঙ্ক্ষিত নয়। এ জন্য সবাই দুঃখিত। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। এই মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, রিপোর্ট পেলে বলতে পারব।