ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা : নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট আবিদ সুলতান ও কো-পাইলট পৃথুলা রশিদসহ নিহত অন্যান্য আরোহীর স্বজনদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা।
বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে আওয়ামীলীগ নেতাদের নির্দেশ দেন। পরদিন বৃহস্পতিবার ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হয়। এদিন বিকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রাজধানীর মিরপুরে নিহত কো-পাইলট পৃথুলার বাসায় যান তিনি। এ সময় ওবায়দুল কাদের তার পরিবারকে সান্ত্বনা দেন।
কাদের বলেন, আমাকে প্রধানমন্ত্রী পাঠিয়েছেন আপনাদের খোঁজখবর নেয়ার জন্য। পৃথুলার মা রাশেদা বেগম পৃথুলাসহ অন্যদের লাশ দ্রুত দেশে নিয়ে আসার জন্য ওবায়দুল কাদেরের কাছে আবেদন জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ চেষ্টা করছি। আমাদের এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে।
এ সময় সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও সাবেক সংসদ সদস্য মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী শাহেদা তারেক দিপ্তী উপস্থিত ছিলেন।
এরপর বিকাল ৪টায় নিহত পাইলট আবিদ সুলতানের উত্তরার বাসায় যান ওবায়দুল কাদের। সেখানে আবিদের স্ত্রী ও স্বজনদের সান্ত্বনা দেন তিনি।
এদিকে, ওই বিমান দুর্ঘটনায় নিহত এফ এইচ প্রিয়ক ও তার শিশুকন্যা প্রিয়ন্ময়ী তামাররার শোকাতুর স্বজনদের সমবেদনা জানাতে যান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারউজ্জামান। এসময় স্থানীয় নেতাকর্মী তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগর হাওলা গ্রামের নিহতের বাড়িতে যান। এ সময় তিনি স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন ও সমবেদনা জানান।
পরে আখতারউজ্জামানের মোবাইলফোনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কথা বলেন নিহতের মামা তোফাজ্জল হোসেন। কাদের নিহতের স্বজনদের সান্ত্বনা জানিয়ে বলেন, আপনাদের এ বিপদে সরকার ও আওয়ামী লীগের নেতারা পাশে রয়েছে।