
ফাইল ছবি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি শনিবার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে এবং এটি পরদিন রোববার সন্ধ্যায় ‘রেমাল’ নাম নিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার থাকবে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) এই তথ্য জানিয়েছে।
আইএমডির বিজ্ঞানী মনিকা শর্মা বলেছেন, ‘শুক্রবার সকালের মধ্যে মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপে ঘনীভূত হবে। শনিবার সকালে এটি আরো ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বাংলাদেশ ও সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে পৌঁছাবে।’
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার কথা বলা হলেও— আবহাওয়া বিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট করে বলা হচ্ছে এটি ভারতের ওড়িশা অথবা বাংলাদেশের উপকূলের ওপর দিয়ে যেতে পারে। আবহাওয়া অফিস বলেছে, ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানা শুরু করতে পারে ২৬ মে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট থেকে ২৭ মে রাত ২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে।
‘রেমাল’ একটি আরবি শব্দ। যার বাংলা অর্থ বালু। নামটি দিয়েছে ওমান। বঙ্গোপসাগরে যেসব ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে সেগুলোর নাম আগে থেকেই ঠিক করা থাকে। ২০২০ সালে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়। সেখান থেকেই এবারের ঘূর্ণিঝড়টির নাম নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘূর্ণিঝড়ের ঘোষণা দেওয়া হয়নি। যখন এই ঘোষণা আসবে তখনই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এ নিম্নচাপটিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল হিসেবে অভিহিত করা হবে।