ছবি: সংগৃহীত
হেফাজতে ইসলামীর আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে শেষ বিদায় জানাতে করোনা ভয় উপেক্ষা করে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে চট্টগ্রামের দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার অভিমুখে। শুক্রবার ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর পর শনিবার সকালে আহমদ শফীর মরদেহ ঢাকা থেকে হাটহাজারী মাদ্রাসায় এসে পৌঁছে।
এদিকে আহাম্মদ শফীর জানাজায় অংশ নিতে শনিবার ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছেন তাঁর লাখো অনুসারীরা। এই ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। সার্বিক নিরাপত্তায় চট্টগ্রামের চার উপজেলায় ১০ প্লাটুন বিজিবিসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে হাটহাজারী, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া এবং ফটিকছড়িতে সকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিজিবি সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা থেকে আল্লামা শফীর মরদেহ পৌঁছায় তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল হাটহাজারী মাদ্রাসায়। এরপর তার মরদেহ দেখার জন্য জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়। জোহরের নামাজের পর হাটহাজারী মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে তার জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজায় ইমামতি করবেন শফীপুত্র মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ। জানাজা শেষে মাদ্রাসার ভেতরে বায়তুল আতিক জামে মসজিদ কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।