গাজীপুর: নিখোঁজের একদিন পর গাজীপুর মহানগরীর ভবানীপুর এলাকার পরিত্যাক্ত একটি সেফটিক ট্যাংক থেকে ফাতেমা আক্তার পুতুল (৮) নামের এক স্কুল ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে নিহতের পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করে লাশ ওই স্থানে ফেলে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ভবানীপুর এলাকাস্থিত মফিজ মিয়ার বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত সেফটিক ট্যাংক থেকে ওই স্কুল ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফাতেমা গাজীপুর মহানগরীর ভবানীপুর এলাকার মজিবুর রহমানের মেয়ে এবং মহানগরীর হাতিমারাস্থিত উইনার পাবলিক স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
নিহতের চাচা মো. আবুল হোসেন জানান, ফাতেমা বৃহস্পতিবার বিকেলে খেলা করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে সে আর ফিরে আসেনি এবং বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখোঁজি করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিহতের চাচা আরো জানান, খোঁজাখোঁজির একপর্যায়ে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ওই এলাকার মফিজ মিয়ার বাড়ির পাশের একটি পরিত্যাক্ত সেফটিক ট্যাংক ভাঙ্গা দেখে সন্দেহ হয়। পরে সেখানে গিয়ে পরিত্যাক্ত ওই ট্যাংকের ভেতর তার মৃতদেহ ভাসতে দেখি। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। তিনি জানান, ফাতেমাকে কেউ হত্যা করে মৃতদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে ওই স্থানে ফেলে রেখে যায়।
জয়দেবপুর থানাধীন চক্রবর্তী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হারুন-অর-রশিদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে সেফটিক ট্যাংক থেকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতলের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এসআই আরো জানান, নিহতের গলায় কালো দাগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ওই স্থানে ফেলে রাখে দূর্বৃত্তরা। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যু সঠিক কারণ জানা যাবে। এব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজের ৪দিন পর রাজন মোল্লা (২৫) নামের এক যুবকের মৃতদেহ উদ্দার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে ওই যুবকের মরদেহ কালীগঞ্জ পৌর এলাকা ঘোনাপাড়া এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত রাজন মোল্লা কালীগঞ্জ উপজেলার গোলাবাড়ী গ্রামের জামান মোল্লার ছেলে।
নিহত রাজনের বাবা জামান মোল্লা জানান, গত চারদিন আগে গোসল করতে শীতলক্ষ্যা নদী যায়। পরে গোসল করে সে আর ফিরে আসেনি। নিখোঁজের চারদিন পর শুক্রবার বিকেলে স্থানীয়রা শীতলক্ষ্যা নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলম চাঁদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহতের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বহুমাত্রিক.কম