নীলফামারী : নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দক্ষিন গয়াবাড়ির নিজ বাড়ির পাশ থেকে জিয়ারুল ইসলাম (৩১) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি একজন মুরগি ব্যবসায়ী ছিলেন l ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে দ্বন্ধে পুলিশ ও এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই মুরগী ব্যবসায়ীর মরদেহ ময়নাতদন্তে জেলার মর্গে পাঠানো হয়। সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসাইন।
নিহতের স্ত্রী সাহিদা বেগমের অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামীকে গলাটিপে হত্যা করার পর ভাসুর আব্দুল জলিল লাশ গাছে ঝুলিয়ে রেখেছেন । গত ৭দিন আগে পারিবারিক ঝগড়ায় ওই ভাসুর ও তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা আমাকে প্রচন্ড মারপিট করেছিল। এতে আহত হয়ে আমি ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে ডিমলা থানায় জিডি করেছিলাম।
তিনি দাবি করেন, পুলিশ তদন্তের আসার পুর্বে সুযোগ পেয়ে ভাসুর ও তার লোকজন আমার স্বামীকে হত্যা করে লাশ গলায় ফাঁস দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে রাখে।
তবে নিহতের ভাই আব্দুল জলিল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পারিবারিক ঝগড়া থাকতে পারে। এ জন্য নিজের ভাইকে হত্যার কোন প্রশ্নই উঠেনা।
তিনি বলেন, ঘটনার দিন গত বুধবার ছোট ভাই জিয়ারুল ইসলাম বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে মুরগী ক্রয় করে গ্রামের সুটিবাড়ি বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রেখে বিকাল ৫টায় বাড়ি আসে। এরপর বিকালে ভাত খেয়ে সাইকেল নিয়ে পুনরায় বাহিরে চলে যায়। রাতে তার লাশ গাছে ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
জিয়ারুল তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে আত্মহত্যা করতে পারে বলে আব্দুল জলিল জানায়।
ডিমলা থানার এসআই শাহাবুদ্দিন জানায়, ঘটনাটি রহস্যজনক হওয়ায় পুলিশের পক্ষে একটি জিডি করা হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার মর্গে লাশের ময়না তদন্ত করা হয়।
নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসাইন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিভিন্নজন বিভিন্ন কথা বলছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে ঘটনাটি পরিস্কার হওয়া যাবে, এটি সত্যিই হত্যা নাকি আত্মহত্যাl
বহুমাত্রিক.কম