ছবি: সংগৃহীত
শিল্পী জুবিন গর্গের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এবার এক অভিনব উদ্যোগ নিল আসাম সরকার। ভক্তদের কাছে গায়কের শেষ স্মৃতিটুকু পৌঁছে দিতে বিশেষ অনলাইন পোর্টাল নিয়ে আসা হল। যেখানে মিলবে জুবিন গর্গের চিতাভস্ম! ৫২ বছর বয়সী এই জনপ্রিয় অসমীয়া শিল্পী গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।
গুয়াহাটিতে তাঁর শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। থরে থরে চন্দনকাঠ দিয়ে সাজানো অন্তিম শয্যায়, শায়িত ছিল জুবিন গর্গের নিথর দেহ। এ যেন তাঁর গাওয়া গানের লাইন, ইয়ে দিল হো জায়ে পত্থর কা, না ইসমে কোই হলচল হো! গোটা দেশ, গোটা আসামের চোখে জল। প্রিয় গায়ককে হারিয়ে এখনও শোকস্তব্ধ অনুরাগীরা।
ভক্তদের আবেগের কথা মাথায় রেখে আসাম সরকার এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জুবিন গর্গের চিতাভস্ম অনলাইনে বিতরণ করা হবে । শুধু তাই নয়, কামারকুচিতে, যেখানে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাহ করা হয়েছিল, সেখানে তৈরি হবে একটি স্থায়ী স্মৃতিসৌধ। জানা গেছে, কামারকুচি জোরহাটে জুবিন গর্গ তাঁর জীবনের বেশ কিছু সময় কাটিয়েছিলেন। আসামের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী রণজ পেগু জানিয়েছেন, শ্মশানের ওই স্থানটি অবিলম্বে সুরক্ষিত করা হবে। তিনি বলেন, "যেখানে চিতা সাজানো ও দাহ করা হয়েছিল, সেই জায়গাটিকে আজ রাত থেকেই সুরক্ষিত করা হবে। অস্থায়ী ব্যারিকেড ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে, আর আজ রাত থেকেই দেওয়ালের কাজ শুরু হবে।"
মন্ত্রী আরও জানান, "আসাম সরকার একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করবে, যেখানে বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান আবেদন করে তাঁদের প্রিয় শিল্পীর চিতাভস্ম সংগ্রহ করতে পারবে। এই প্রক্রিয়াটি সংস্কৃতি বিভাগ তত্ত্বাবধান করবে।" তিনি আরও স্পষ্ট করেন, "যদি প্রতিষ্ঠানগুলিকে অস্থি দেওয়ার পর কিছু অবশিষ্ট থাকে এবং কোনও ব্যক্তিগত আবেদন আসে, সেক্ষেত্রেও তা বিবেচনা করে দেখা হবে। মৃত্যু-পরবর্তী ১৩তম দিনের যে সমস্ত রীতি-নীতি রয়েছে, তা জোরহাটে সম্পন্ন করা হবে।




