
ফাইল ছবি
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনা করতে আগামী শুক্রবার রাশিয়ার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের সময় শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক বহুল প্রতীক্ষিত ঘোষণায় ট্রাম্প এ তথ্য জানান।হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, সমঝোতায় উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক কিছু ভূখণ্ড বিনিময় থাকতে পারে। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কিছু ভূখণ্ড বিনিময় হবে, যা দুই পক্ষের জন্যই মঙ্গলজনক হবে।’
ট্রাম্পের ঘোষণার পর ক্রেমলিনও এক বিবৃতিতে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পুতিনের শীর্ষ উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ বলেন, দুই নেতা ‘ইউক্রেন সংকটের দীর্ঘমেয়াদি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খোঁজা’ নিয়ে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘এটি স্পষ্টতই একটি চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া হবে, তবে আমরা এতে সক্রিয় ও উদ্যমীভাবে অংশ নেব।’
শুক্রবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার ওপর যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করা গেলে যুদ্ধবিরতি সম্ভব। তিনি জানান, গত কয়েক দিনে তিনি ডজনখানেক দেশের নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তার দল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।
চলতি সপ্তাহে মস্কোয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। আলোচনায় ইউক্রেন যুদ্ধ, দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্ক এবং যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য রূপরেখা নিয়ে গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানায় উভয় পক্ষ।
এরপর বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আগামী সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন বলে নিশ্চিত করা হয়।
পুতিনের দাবি, লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসন-এই চারটি অঞ্চল এবং ২০১৪ সালে দখল করা কৃষ্ণসাগরের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ রাশিয়ার অংশ। যদিও এই চার অঞ্চলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রুশ বাহিনীর হাতে নেই।
এর আগে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তারা এমন একটি চুক্তির দিকে এগোচ্ছেন যা রাশিয়ার দখল করা ভূখণ্ডে মস্কোর নিয়ন্ত্রণ বহাল রাখবে।
তবে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনকে গুজব বলে উদিয়ে দিয়েছেন। ক্রেমলিন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।