পোলট্রি, মৎস্য ও ডেইরি ফিড তৈরির অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ সয়াবিন মিলের রপ্তানি বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।তবে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত যেগুলোর এলসি/টিটি সম্পন্ন হবে, সেগুলো ২০ অক্টোবরের মধ্যে রপ্তানি করা যাবে বলেও প্রজ্ঞাপনে
রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রসঙ্গে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দু’টি পত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘সয়াবিন মিল রপ্তানি অব্যাহত থাকলে, এর প্রভাবে ডেইরি ও পোলট্রি খাদ্য উৎপাদন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে, যার ফলে ডেইরি ও পোলট্রি খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। এতে দেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরে বিরূপ প্রভাব পড়বে।’
মূলত সে কারণেই ডেইরি ও পোলট্রি সেক্টরের স্বার্থ রক্ষার্থে ১৪ অক্টোবর থেকে সয়াবিন মিল রপ্তানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (এফআইএবি) সভাপতি এহতেশাম বি. শাহজাহান। তিনি বলেছেন, দেরিতে হলেও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এফআইএবির সাধারণ সম্পাদক মো. আহসানুজ্জামান বলেছেন, সয়াবিন মিল রপ্তানির সিদ্ধান্তে দেশীয় পোলট্রি, মৎস্য ও ডেইরি খাতের অভাবনীয় ক্ষতি হয়েছে। তিনি জানান, রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় এবং ভারতে সয়াবিন মিলের সংকট কমে যাওয়ায়, সয়াবিন মিলের স্থানীয় মূল্য অবশ্যই কমবে বলে আশা করি।
তবে সয়াবিন মিল রপ্তানি বন্ধে আপাতত এক ধরনের স্বস্তি নেমে এলেও, পোলট্রি ও ডেইরি খামারিরা বলছেন, রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তই যথেষ্ট নয় বরং সয়াবিন মিলের দাম পূর্বের অবস্থায় আনাও অত্যন্ত জরুরি। তা না হলে ফিডের দাম কমবে না। যার ফলে ডিম ও মুরগির উৎপাদন খরচও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না।
তাই সয়াবিন মিলের মূল্য কমানোর জন্য তৈল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের ওপর চাপ প্রয়োগের আবেদন জানিয়েছেন পোলট্রি, মৎস্য ও ডেইরি খামারিরা।