
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন চাপের মুখে, সিরিয়া ইসরাইলের সাথে একটি নিরাপত্তা চুক্তির আলোচনা এগিয়ে নিতে চাইছে। যে চুক্তি হলে দামেস্ক আশা করে, ইসরাইলের সাম্প্রতিক ভূমি দখলের ঘটনা বন্ধ হবে। তবে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ শান্তি নয় বরং আংশিক সমঝোতা। আলোচনা সম্পর্কে অবহিত সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
চারটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, ওয়াশিংটন এই মাসের শেষে একটি বড় অগ্রগতি অর্জনের আশা করছে। তখন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের জন্য নিউইয়র্কে বিশ্ব নেতাদের জড়ো হওয়ার সময় যাতে এ বিষয়ে অগ্রগতির ঘোষণা দেয়া সম্ভব হয় সেজন্য ট্রাম্প চাপ প্রয়োগ করছেন।
তবে ইসরাইলের কঠোর অবস্থানের কারণে চুক্তির বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়।
সূত্র জানিয়েছে, সিরিয়ার এই চুক্তি করার লক্ষ্য হলো সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দখলকৃত অঞ্চল থেকে ইসরাইলি সেনাদের সরিয়ে নেয়া। এছাড়া ১৯৭৪ সালের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত একটি অসামরিক বাফার জোন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এবং সিরিয়ায় ইসরাইলি বিমান হামলা এবং স্থল অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
সূত্রগুলো আরও জানায়, গোলান মালভূমির অবস্থা নিয়ে কি হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। যা ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরাইল দখল করেছিল। দামেস্কের অবস্থানের সাথে পরিচিত একটি সিরিয়ান সূত্র জানিয়েছে যে, এটি ভবিষ্যতের জন্য ছেড়ে দেয়া হবে।
১৯৪৮ সালে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দুই দেশ কৌশলগতভাবে যুদ্ধে লিপ্ত, যদিও পর্যায়ক্রমে যুদ্ধবিরতি হয়। সিরিয়া ইসরাইল রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয় না।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার উপর চাপ দিচ্ছে যাতে তারা একটি নিরাপত্তা চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করে। ‘এটি ট্রাম্পের ব্যক্তিগত বিষয়।’ একজন ইসরাইলি নিরাপত্তা সূত্র বলেছেন, মার্কিন নেতা নিজেকে মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতিতে একটি বড় সাফল্যের স্থপতি হিসেবে উপস্থাপন করতে চান।
এ বিষয়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মারের কার্যালয়, যিনি আলোচনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন, রয়টার্সের প্রশ্নের উত্তর দেয়নি।
আরও পড়ুন:দোহায় হামলার কথা ট্রাম্পকে আগেই জানান নেতানিয়াহু, ট্রাম্প ‘না বলেননি’