ছবি: বহুমাত্রিক.কম
খুলনা : বিস্ময়কর ঘটনা বটে! উদ্যোগ নেওয়ার ৪৬ বছর পর পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। পর্যটন কর্পোরেশন নগরীর মুজগুন্নিতে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে পর্যটন মোটেল ও ট্রেনিং ইন্সটিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। যা দীর্ঘ ৪৬ বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি।
এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সেখানে আন্তর্জাতিকমানের ৫ তারকা মোটেল ও ট্রেনিং সেন্টারসহ পর্যটন কমপ্লেক্স নির্মাণ করবে। একারণে বুয়েট ( বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে। আগামী ২/৩ মাসের মধ্যেই সমীক্ষা প্রতিবেদন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে।
খানজাহান আলীর (রহঃ) স্মৃতিধন্য শিল্প ও বন্দর নগরী খুলনা। একানেই বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ বন। পর্যটন শিল্পের বিকাশেরও অপার সুযোগ। এই সুযোগ কাজে লাগাতেই ১৯৭০ সালে খুলনায় পর্যটন মোটেল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়। এজন্য নগরীর মুজগুন্নিতে হুকুম দখল করা হয় ৪ দশমিক ৮৪ একর জমি।
খুলনা আবু নাসের আর্ন্তজাতিক স্টেডিয়াম ও নেছারিয়া মাদ্রাসার মধ্যবর্তী মুজগুন্নি বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশের এই জমিটি তখনকার সরকার মোটেল তৈরির জন্য হুকুম দখল করে। দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ সার্ভিসেস লি: ও বর্তমানে পর্যটন কর্পোরেশন এই বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
জানতে চাইলে কেডিএ’র (খুলনা উন্নযন কর্তৃপক্ষ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো: সাবিরুল আলম বলেন, পর্যটন কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে মোটেল ও ট্রেনিং ইন্সটিটিউট স্থাপনের করতে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করায় তাদেরকে সম্মতি দেয়া হয়েছে। তাদের নিজস্ব প্লানিং ও নকশা অনুযায়ী স্থাপনা তৈরি করবে।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ-উজ-জামান বলেন, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন। খুলনায় পর্যটন শিল্প বিকাশের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন। সম্ভাবনাময় এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে পর্যটন কর্পোরেশনের নিজস্ব জায়গায় মোটেল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নির্মাণ জরুরী। এটি উন্নয়ন কমিটির দাবিসমূহের মধ্যেও রয়েছে। সুতরাং পর্যটন কর্পোরেশনের জন্য নির্ধারিত জায়গায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেখানে মোটেল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করা জরুরী বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক (প্ল্যানিং) খালিদ বিন মজিদ বলেন, খুলনার মুজগুন্নিতে আন্তর্জাতিকমানের ৫ তারকা মোটেল ও পর্যটন কমপ্লেক্স স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতিও পাওয়া গেছে। মাঠ পর্যায়ে স্টাডির (সমীক্ষা) কাজ করছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। তারা সেখানে কেমন স্থাপনা করা যেতে পারে, কতো জনবল প্রয়োজন হতে পারে, তারই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আগামী ২ থেকে তিনমাসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। পরবর্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি বলেন, পর্যটন কর্পোরেশনের ওই জমির চারিদিকে বর্তমানে সীমানা প্রাচীর দেয়া হয়েছে। জায়গাটি দেখভাল করার জন্যে একটি গার্ড রুম তৈরি করা হয়েছে। সেখানে একজন গার্ডও রয়েছেন।
বহুমাত্রিক.কম