ঢাকা : পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাত কমায় দেশের অধিকাংশ স্থানের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও নাটোর ও শরীয়তপুরের বন্যার অবনতি হয়েছে।
নাটোরে আত্রাই নদীর পানি বাড়ায় নাটোরের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। রোববার রাতে সিংড়া ও নলডাঙ্গা উপজেলার ১০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। ঘরবাড়িতে পানি উঠায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যার্তরা। বন্যায় এ দুই উপজেলার অন্তত ১০ হাজার ৭০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
শরীয়তপুরে পদ্মা ও কীর্তিনাশা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শরীয়তপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানি বাড়ায় শরীয়তপুর সদর ও নড়িয়া উপজেলায় ৩৭টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
মাদারীপুরের বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও ভাঙন দেখা দিয়েছে। আতংকে দিন কাটাচ্ছেন পদ্মাপাড়ের বাসিন্দারা। অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়ে ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে।
এছাড়া পানি কমতে থাকায় নওগাঁ, ফরিদপুর ও সুনামগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে এসব এলাকায়।