খুলনা : ১৫ জানুয়ারি সোমবার সাংবাদিক মানিক সাহার হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পূর্ণ হচ্ছে। ২০০৪ সালের এই দিনে খুলনা প্রেস ক্লাবের অদূরে বোমা মেরে দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যা করে।
শোকাবহ এই দিনটি উপলক্ষে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন ‘কেইউজে’র পক্ষ থেকে সোমবার বেলা সাড়ে ১০টায় খুলনা প্রেস ক্লাবের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে মাল্যদান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। খুলনা প্রেস ক্লাবও অনুরুপ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর এই হত্যা মামলার বিচার কাজ শেষে রায় দেয়া হয়। যথাযথ সাক্ষীর অভাবে কোন আসামীর দৃষ্টান্তমূলক সাজা হয়নি। রায় ঘোষণাকালে বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এম এ রব হাওলাদার তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, তদন্তে দুর্বলতার পাশাপাশি যথাযথ সাক্ষ্য পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেছিলেন, সাক্ষ্য যথাযথ না পাওয়ায় অপরাধীদের মৃত্যুদন্ড দেয়া গেল না। এতে ১১ আসামীর মধ্যে ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, দশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের দন্ড দেয়া হয়। হত্যা মামলায় এসব আসামীদের সাজা হলেও বিষ্ফোরক মামলায় কোন আসামীকে সাজা দেয়া যায়নি।
হত্যা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয়া হয় অতি দ্রুততার সাথে ২০০৪ সালের ২০ জুন। এ সময়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক কাজী আতাউর রহমান এবং খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন। আসামী ছিল ১৩ জন। একই আসামীদের অভিযুক্ত করে বিষ্ফোরক মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয় বেশ পরে ২০০৭ সালের ১৯ মার্চ। তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক আসাদুজ্জামান।
পরে হত্যা মামলাটির অধিকতর তদন্ত হয়। এই অধিকতর তদন্তে সম্পুরক চার্জশীট জমা পড়ে ২০০৭ সালের ২ ডিসেম্বর। তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক চিত্তরঞ্জন পাল। তিনি আরও একজন আসামী যোগ করেন। মোট আসামী হয় ১৪ জন। বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই আসামীদের মধ্যে তিন জন কথিত ক্রসফায়ারে মারা পড়ে। ১১ আসামী নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
বহুমাত্রিক.কম