Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১৭ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪

‘সরকারই বিদ্যুত দিতে পারে না, আমি দেব কোত্থেকে?’

শেখ হেদায়েতুল্লাহ, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৩:০৬, ১৮ অক্টোবর ২০১৭

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

‘সরকারই বিদ্যুত দিতে পারে না, আমি দেব কোত্থেকে?’

খুলনা : ‘সরকারই বিদ্যুত দিতে পারে না, তো আমি দেব কোত্থেকে? বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকবে ইচ্ছা হলে সংযোগ রাখবেন না হলে রাখবেন না। তাতে আমার কিছু যায় আসে না।’

-বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিং থেকে কতক্ষণ পরে মুক্তি পাওয়া যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে খুলনা পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডুমুরিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম (ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার) মোঃ আবুল বাসার আজাদ এক গ্রহককে এমনটাই বললেন।

খুলনা পল্লী বিদ্যুত সমিতির আওতায় ডুমুরিয়া উপজেলায় ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) কার্যালয় চালু করা হয়। ডুমুরিয়া আঞ্চলিক কার্যালযের অধিনে প্রায় ৬২ হাজার গ্রাহক রয়েছে। যার মধ্যে ৮০ ভাগ সংযোগ আবসিক, ১৫ ভাগ আবাসিক ৩ ভাগ শিল্প অন্যান্য গ্রাহক রয়েছে শতকরা ২ ভাগ।

সাম্প্রতিক সময়ে ডুমুরিয়া এলাকায় বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিং শুরু হয়েছে। মাগরিবের আজান দেওয়ার সাথে সাথে বিদ্যুত চলে যায়। আসে রাত আটটার দিকে। আবার রাত নয়টার দিকে বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হয়। বিদ্যুত আসে রাত ১১ টা বা ১২টার দিকে। সন্ধ্যায় বিদ্যুত না থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মারাত্মক বিঘ্নের সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যা হলেই ছেলে মেয়েরা পড়তে বসে। সে সময়ে বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হওয়ায় তারা মোমবতির আলো বা কেরোসিনের বাতির আলোতে পড়তে পারে না।

তাছাড়া তাতে বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হয় বিদ্যুত গ্রাহকদের। আগামী নভেম্বর মাস থেকে শুরু হচ্ছে পিএসপি (প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী) ও জেএসসি ( জুনিয়র সার্টিফিকেট) পরিক্ষা। ডুমুরিয়া উপজেলা সদরসহ বেশ কযেকটি গুরুত্বপূণৃ বাজার রয়েছে। সন্ধ্যার দিকে বিদ্যুত না থাকায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের সুযোগে জেনারেটর ব্যবসায়ীদের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

ডুমুরিয়া সদরের বাসিন্দা শফিক আহমেদ বলেন, প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হয়। যা পর্যায়ক্রমে রাত ১২টা নাগাদ চলে। কোন কোনদিন ভোর রাত পর্যন্ত বিদ্যুত বন্ধ রাখা হয়।

ডুমুরিয়া সদরের আনোয়ারা মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গাজী মেহেদী হাসান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। তাতে করে গলদা, বাগদাসহ সাদা মাছ সংরক্ষণ করতে প্রয়োজনীয় বরফ পাওয়া যায় না। তাতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ডুমুরিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের এজিএম (কর্মাসিয়াল) মইনুল হুদা বলেন, ডুরিয়ায় প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ১৬ মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ পাওয়া যায় মাত্র ৮ মেগাওয়াট। ফলে বাধ্য হয়েই বিদ্যুতের লোডশেডিং করতে হয়।

ডুমুরিয়া আঞ্চলিক কার্যালযের ডিজিএম (ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার) মোঃ আবুল বাসার আজাদ’র কাছে বিদ্যুতের লোডশেডিং কতক্ষণ থাকবে সেটা জানতে সোমবার রাত ১০ টা ৪৫ মিনিটে মুঠোফোনে কল দেয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘সরকারই বিদ্যুত দিতে পারে না। তো আমি বিদ্যুত দেব কোত্থেকে? যেভাবে দেয়া হচ্ছে এভাবেই বিদ্যুত দেয়া হবে। পোষালে সংযোগ রাখবেন না পোষালে রাখবেন না।’- এ কথা বলেই তিনি থ্যাংক ইউ বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer