ঢাকা : গবেষণায় দেখা গেছে, প্রধানত মুখের খাদ্যকণা থেকে বিপাকীয় পদ্ধতিতে নির্গত জীবাণুসমূহ থেকে অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরি হয়, যা এই দুর্গন্ধের জন্য দায়ী।
দুর্গন্ধের কারণ হিসেবে সুনির্দিষ্টভাবে কয়েকটি কারণকে চিহ্নিত করা যায়:
*প্রতিবার খাবার গ্রহণে মুখের ভেতরে খাদ্য আবরণ দাঁতের ফাঁকে, মাড়ির ভেতর জমে থেকে দন্তমূল সৃষ্টি করে ও তা থেকে মাড়ির প্রদাহ হয়
*মুখের যেকোনো ধরনের ঘা বা ক্ষত
*আঁকাবাঁকা দাঁত থাকার কারণে খাদ্যকণা ও জীবাণুর অবস্থান
*মুখের ভেতরে ছত্রাকের সংক্রমণ
*মুখের ক্যানসার
*ডেন্টাল সিস্ট বা টিউমার
*দুর্ঘটনার কারণে ফ্রেকচার ও ক্ষত
অপরিষ্কার জিহ্বা
তা ছাড়া দেহের অন্যান্য রোগের কারণেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে, যেমন পেপটিক আলসার বা পরিপাকতন্ত্রের রোগ, লিভারের রোগ, গর্ভাবস্থা, কিডনি রোগ, রিউমেটিক বা বাতজনিত রোগ, ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র, হাইপার টেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ, গলা বা পাকস্থলীর ক্যানসার, এইডস রোগ, হৃদ্রোগ, মানসিক রোগ, নাক, কান ও গলার রোগ ইত্যাদি।
মুখের ও দাঁতের সমস্যাগুলো দূর করার পরও যদি দুর্গন্ধ থেকে যায়, তবে দেহের অন্যান্য সাধারণ রোগের উপস্থিতির পরীক্ষাগুলো করিয়ে নেওয়া ভালো। এ ছাড়া জীবনযাপনের পদ্ধতিতে আনতে হবে কিছু পরিবর্তন।
হরেক ব্র্যান্ডের মাউথওয়াশ/ স্প্রে ইত্যাদি ব্যবহারের ফল কত দূর পাওয়া যায়, তা বলা মুশকিল। তবে মুখে দুর্গন্ধ হলে ঘরে বসে আপনি যা করবেন:
*একটি পরিষ্কার উন্নতমানের দাঁতের ব্রাশ ও পেস্ট দিয়ে দাঁতের সব অংশ ভেতরে-বাইরে পরিষ্কার করুন (তিন বেলা খাবারের পর)।
*জিহ্বা পরিষ্কারের জন্য বাজারে স্টেইনলেস স্টিল অথবা প্লাস্টিকের সরঞ্জাম পাওয়া যায়।
যেকোনো ধরনের মাউথওয়াশ (ক্লোরোহেক্সিডিন-জাতীয়) দুই চামচ মুখের ভেতরে ৩০ সেকেন্ড রেখে ফেলে দিয়ে আবার অল্প গরম লবণ পানিতে কুলকুচি করুন প্রতিদিন দুবার সকালে ও রাতে খাবারের পর।
*মুখের ভেতরে একটি লং বা এলাচির দানা রাখুন।
*মূল খাবারের আগে বা পরে প্রতিবার সম্ভব হলে দাঁত ব্রাশ করুন অথবা ভালোভাবে কুলকুচি করে ফেলুন।
*ধূমপান বা তামাকজাত দ্রব্য জর্দা, পান ইত্যাদি ত্যাগ করুন।
সংগৃহীত