Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১২ ১৪৩১, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ভারতীয় মূদ্রা বাতিলে চাতলাপুরে মুখ থুবড়ে আমদানি রপ্তানি

নূরুল মোহাইমীন মিল্টন, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০২:৫৬, ৫ ডিসেম্বর ২০১৬

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

ভারতীয় মূদ্রা বাতিলে চাতলাপুরে মুখ থুবড়ে আমদানি রপ্তানি

মৌলভীবাজার : ভারতীয় ৫০০ ও ১০০০ হাজার টাকার মুদ্রা বাতিল করার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রমেও। বড় দু’টি মূদ্রা বাতিলে ভারতে বাংলাদেশী টাকার ও ই্উএস মূদ্রা ডলারের মানও কমে যাওয়ায় ভারতের উত্তর ত্রিপুরা অঞ্চলের ও বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা চাহিদাকৃত পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে পারছে না। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে মৌলভীবাজারের চাতলাপুর স্থল শুল্ক ষ্টেশনে আমদানি-রপ্তানী কার্যক্রম মুখ থোবড়ে পড়েছে।

সিএনএফ এজেন্ট ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগে জানা যায়, এলসি করতে না পারায় মৌলভীবাজারের চাতলাপুর স্থল শুল্ক ষ্টেশনের বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের মাধ্যমে টিটি ও এলসি করতে পারছেন না বলে এ শুল্ক স্টেশনে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পূর্বের মতো এখানে পণ্যবাহী কোন পরিবহনের লাইনও দেখা যায়নি। শুল্ক স্টেশনের শ্রমিকরা অলস বসে সময় পার করছেন। দুই সপ্তাহ আগেও এখানে প্রাণ আরএফ এল সামগ্রী, বাংলাদেশী বিভিন্ন কোম্পানীর সিমেন্টবাহী ট্রাক, মাছবাহী কার্গোসহ বাংলাদেশী পণ্যবাহী গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা যেতো।

চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের ভারতীয় অংশে অবস্থানরত দু’জন ভারতীয় আমদানী রপ্তানীকারক জানান, ভারতীয় মূদ্রা বাতিলে ব্যাংক থেকে কোন টাকা উত্তোলন করতে পারছে না বলে এলসি ও টিটিও করতে পারছেন না। ব্যাংকে এক লাখ টাকার চাহিদা দিলে ব্যাংক মাত্র দুই হাজার টাকা দিতে চায়। ফলে এলসির মাধ্যমে বাংলাদেশে কোন পণ্যের চাহিদাও দিতে পারছেন না।

বাংলাদেশ অংশে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন এলাকায় অবস্থানরত বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ইমরান আহমেদ ও সোহেল আহমদসহ সিএনএফ এজেন্টরা বলেন, আগে ভারতে বাংলাদেশী একশত টাকার নোটের বিনিময়ে ভারতীয় ৮২ টাকা পাওয়া যেত। গত দুই সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশী একশত টাকার বিনিময়ে ৭০ টাকা পাওয়া যায়। মার্কিন মূদ্রা ডলালেরও মান কমে গেছে। ফলে বাংলাদেশ থেকে কোন সামগ্রী রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি ভারত থেকে সাতকরা, ভাঙ্গা কঁচ, কলাসহ অন্যান্য পণ্য সামগ্রীও আমদানি করতে পারছেন না।

ব্যবসায়ীরা জানান, আগে প্রতিদিন কোন না কোন কোম্পানীর ৪ থেকে ৫ ট্রাক পণ্য এই পথে ভারত রপ্তানি হত। কয়েকদিনে মাত্র একবারও কিছু পণ্য রপ্তানী হয়েছে। একজন ব্যবসায়ী বলেন, ভারতে মাছ রপ্তানির একটি চালানপত্র নিয়ে তিনি চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনে আসেন। কিন্তু টাকার অভাবে ভারতীয় ব্যবসায়ী চালানপত্র গ্রহন করেননি বলে সেটি ফিরিয়ে আনতে হয়েছে।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরস্থ চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ আতাউর রহমান ভারতীয় দুটি মূদ্রা বাতিলে এই পথে আমদানি রপ্তানীর উপর বড় ধরনের প্রভাব পড়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কিছুদিন আগেও আমদানি রপ্তানি কার্যক্রমে সীমান্তে শুল্ক স্টেশন এলাকায় তাদের ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। মূদ্রা বাতিলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের টিটি ও এলসি দিতে পারছে না। যে কারনে এই রুট দিয়ে আমদানি রপ্তানি কার্যকমে এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer