ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ২০১৬-’১৭ অর্থবছরে বাজেটে বৈদেশিক সহায়তা পরিমাণ ৪৪ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা (প্রায় ৫ হাজার ৫৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) প্রাক্কলন করা হয়েছে।
তিনি রোববার সংসদে সরকারি দলের গাজী ম. ম. আমজাদ হোসেন মিলনের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বৈদেশিক সহায়তার মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে প্রকল্প সাহায্য বাবদ ৪০ হাজার কোটি টাকা (প্রায় ৫ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার) খাদ্যসহায়তা বাবদ ৩১৬ কোটি টাকা (প্রায় ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বহির্ভূত প্রকল্প সাহায্য বাবদ ৪ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা (প্রায় ৫১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এ পরিমাণ বৈদেশিক সাহায্যের মধ্যে অনুদানের পরিমাণ ৫ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা (প্রায় ৬৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং ঋণের পরিমাণ ৩৮ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা (প্রায় ৪ হাজার ৮৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
তিনি বলেন, বৈদেশিক সহায়তা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় অবকাঠামো ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি সেতু, রেল ও সড়কসহ অবকাঠামো ও আর্থ-সামাজিক খাতে বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে ৭ম পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনাতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা সময়ে গড়ে বার্ষিক শতকরা ৭.৪ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মুহিত বলেন, এই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে জিডিপি’র ৩২ শতাংশ। এ পরিমাণ বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় অথবা ঋণ দ্বারা মিটানো সম্ভব নয়। তাছাড়া এখনো অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদের হার বৈদেশিক ঋণের সুদের হারের তুলনায় অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে বৈদেশিক সাহায্য এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম।
বাসস