Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ২৪ ১৪৩১, বুধবার ০৮ মে ২০২৪

নিমতলা বিদ্যালয়ের ট্রেড ইন্সট্রাক্টরের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০২:৩১, ১৪ জুন ২০১৭

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

নিমতলা বিদ্যালয়ের ট্রেড ইন্সট্রাক্টরের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

কুষ্টিয়া : সালাউদ্দিন। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিমতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কারিগরি শাখার ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের ট্রেড ইন্সট্রাক্টরহিসাবে কর্মরত। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির চেয়ে দাপট বেশি তার।

কারো কোন কথায় তোয়াক্কা করেন না তিনি। এই স্কুলটিকে দূর্নীতির আখড়া হিসাবে গড়ে তুলতে চাচ্ছেন এই শিক্ষক। বিদ্যালয়ের সকল নিয়ম আর অনিয়মের হোতা এই সালাউদ্দিন। তার কথায় যেন সেখানে নিয়ম।

সরকারি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি বাবদ হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি। তার কাছে প্রাইভেট না পড়লে পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকিসহ শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক নম্বর দিতেও টাকা লাগে তার কাছে। টাকা ছাড়া ব্যবহারিক খাতায় তার সই সে এক অসম্ভব ব্যাপার। খাতা প্রতি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশ্যের অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চাপে পড়ে তার কাছে প্রাইভেট পড়তে যাই। আমাদের সাথে অকথ্য ভাষায় কথা বলেন তিনি। তার কাছে পড়তে না গেলে আমাদের ব্যবহারিক নাম্বার না দেওয়ার হুমকি দেন।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক তার একজন সহকর্মী শিক্ষক জানান, কারিগরি শাখার ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর সালাউদ্দিনের কারণে দিনদিন এই স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সুনাম হারাতে বসেছে। শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানোর নামে ব্যবসার দোকান খুলে বসেছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি তার কাছে যেন অক্ষম। তার খুটির জোর যে কোথায় তা কারো জানা নেই।

গত কয়েকদিন আগে তার অপকর্মের কারনে সারা দেশের শীর্ষ স্থানীয় মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত হয়েছে এই বিদ্যালয়টি। অভিযোগ রয়েছে, পরীক্ষায় যদি পাশ করতে হয় তাহলে স্যারকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। স্যারকে অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা না দিলে ফেল। বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীদের অভিযোগ আমলে নেননি প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান। ওই বিদ্যালয়ে ৪০ জন ছাত্র-ছাত্রী এসএসসি ভোকেশনাল শাখায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। অতিরিক্ত টাকা আদায় করায় রেজিস্ট্রেশন করতে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্র/ছাত্রীরা। এ নিয়ে পরীক্ষার্থী ও ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমানের সঙ্গে পরামর্শ করেই অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা না দিলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন ইলেক্ট্রিক্যাল ট্রেড ইন্সটেকক্টর সালাউদ্দিন। তবে অতিরিক্ত টাকা আদায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কোনো রশিদ দেওয়া হচ্ছে না। এর প্রতিবাদ করলেও পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে ঐ শিক্ষক।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক সালাউদ্দিন আহম্মেদ জানান, এটা আমার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু না। কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছে।

তবে এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান বলেন, এমন তথ্য আমার জানা নেই। যদি এমন হয়ে তাকে তাহলে আমরা শিগগিরই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার হায়দার জানান, বোর্ড ফি’র বাইরে কোনো অর্থ না নেয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত অর্থ নিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা শিক্ষা অফিসার এসএম ছায়েদুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে লিখিত কোন অভিযোগ পেলে দ্রুত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer