ঢাকা : ভারতের নয়া দিল্লীতে অনুষ্ঠিত এক ‘আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সম্মেলনে’ দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশের স্ব-স্ব সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এ অঞ্চলের দেশগুলোকে সমন্বিত কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
ওয়াল্ড ইকনোমি ফোরাম (ডব্লিওইএফ) এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
শুক্রবার বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, এ অঞ্চলের প্রত্যেক দেশকে তাদের নিজেদের আওতায় থাকা সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ঐক্য আরও সুদৃঢ় করতে হবে।
আকর্ষণীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং এ অঞ্চলের কর্মক্ষম সকল জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে লাভবান হওয়ার জন্য দক্ষিণ এশিয়া খুবই সম্ভাবনাময় একটি অঞ্চল বলে পরিকল্পনামন্ত্রী মুস্তফা কামাল উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘ফলপ্রসূ ও একিভূত একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক বলয় গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কোন বিকল্প নেই । তিনি বলেন বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল ও ভারতের মধ্যে হাইড্রো-ইলেকট্রিক ক্ষেত্রে সুদৃঢ় সহযোগিতা সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশসমূহের লাভবান হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বগণ এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
এতে জানানো হয়, আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় যুগান্তকারী সফলতা অর্জন করেছে। দারিদ্র্য বিমোচনসহ বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের বিষ্ময়কর অগ্রগতি হয়েছে।
বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সম্মেলনের সাইড লাইনে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ট্রান্সফরমিং ইন্ডিয়ার (আইয়গ) ভাইস-চেয়ারম্যান অরবিন্দপানগারিয়ার সাথে বৈঠক করেন।
বৈঠকে তারা বাংলাদশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিশেষ করে অর্থ-বাণিজ্যখাতের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য, ওয়াল্ড ইকনোমি ফোরাম পাবলিক প্রাইভেট সহযোগিতার একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম।