ঢাকা : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এ বছর প্রত্যেকটি দুর্যোগে জেলা প্রশাসকদের চাহিদার ১ থেকে ৩ ঘন্টার মধ্যে ত্রাণ সামগ্রীর বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অনেক জায়গায় চাহিদাপত্রের আগেই বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতার বিচারে এ পদক্ষেপ নজিরবিহীন। এ ধারা অব্যহত থাকবে।’
তিনি আজ মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ সফিউল আলম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ্ কামাল, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, কোন মানুষ যাতে দুর্যোগে খাদ্য, বাসস্থান ও চিকিৎসায় কষ্ট না পায় তার জন্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ও প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে ত্রাণ সামগ্রি বিতরণে তৎপর হতে তিনি জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহবান জানান।
টিআর, কাবিখার বরাদ্দ মার্চ মাসের মধ্যে ছাড়ের জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু জেলায় প্রথম কিস্তির কাজ শেষ করতে বিলম্ব করায় দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় করতে সময় লাগে। প্রথম কিস্তির প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন হলে দ্বিতীয় কিস্তির বরাদ্দ মার্চের আগেই দেয়া সম্ভব বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
হাওর এলাকায় জানুয়ারি মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ বরাদ্দ ছাড়ের অনুরোধে মন্ত্রী বলেন, প্রথম কিস্তির কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা গেলে জানুয়ারির মধ্যে সম্পূর্ণ বরাদ্দ দেয়া হবে। মন্ত্রী সময় মত প্রকল্প তালিকা পেতে সংসদ সদস্যদের সাথে যোগাযোগ আরও নিবিড় করতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহবান জানান।
মন্ত্রী বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকা বেড়ি বাঁধ মেরামতের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার আহ্বান জানান।