ঢাকা : বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির উদ্যোগে ‘এশিয়াটিক সোসাইটি ঐতিহ্য জাদুঘর’ স্থাপন করা হচ্ছে।
সংস্থার ঢাকার নিমতলী অফিস এলাকায় মোঘল আমলের নায়েব-নাজিমদের প্রাসাদের দেউরীতে জাদুঘর স্থাপন করা হচ্ছে।
প্রায় আড়াইশ’ বছরের পুরনো এই ভবনটি ঢাকার একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। প্রাসাদে এটাই একমাত্র দেউরী অবশিষ্ট রয়েছে। একমাত্র দেউড়ীটিতে জাদুঘর স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। জাদুঘরটি খুব শিগগিরই দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
এশিয়াটিক সোসাইটি ঐতিহ্য জাদুঘরের কিউরেটর জাহাঙ্গীর হোসেন আজ বাসসকে এই তথ্য জানান। তিনি জানান, এশিয়াটিক সোসাইটি ঐতিহ্য জাদুঘর স্থাপনের কার্যক্রম কয়েক বছর আগে থেকেই শুরু হয়েছে। নিদর্শন সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখনও কাজ চলছে। জাদুঘর স্থাপনের কাজ শেষ হলেই দর্শকদের জন্য তা উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
তিনি জানান, নিদর্শন সংগ্রহের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকার একটি পরিবারের সংগ্রহ করা নিদর্শণ আমরা গত সপ্তাহে গ্রহণ করেছি। তিনি জানান, নায়েব-নাজিমদের প্রাসাদের সাদ উর রহমানের পরিবার দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকার ঐতিহ্য ও পারিবারিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে আসছে। হেকিম হাবিবুর রহমান তৎকালীন ঢাকা জাদুঘরকে অনেক মূল্যবান নিদর্শন প্রদান করেছেন।
সাদ উর রহমান একজন টাকা ও মুদ্রা বিষয়ক গবেষক ও সংগ্রাহক। তাঁদের পরিবারে এই ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনগুলো সংরক্ষিত ছিল। ২৩টি উপহারের মধ্যে রয়েছে একটি হুক্কা, ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার ছয়টি রৌপ্য মুদ্রা, ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার সাতটি তা¤্র মুদ্রা, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সাতটি তা¤্র মুদ্রা ও মোগল স¤্রাটের চারটি রৌপ্য মুদ্রা।
সাদ উর রহমান এশিয়াটিক সোসাইটি ঐতিহ্য জাদুঘরকে উপহার হিসাবে এই ২৩টি নিদর্শণ প্রদান করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ২২টি মুদ্রা এবং তার পিতা এ ই আর খান এর নিকট রক্ষিত ঐতিহ্যবাহী একটি হুক্কা। এশিয়াটিক সোসাইটির ঐতিহ্য জাদুঘরের কিউরেটর জাহাঙ্গীর হোসেন ও এশিয়াটিক সোসাইটির উপ-পরিচালক (হিসাব) প্রবীর কান্তি দেবের নিকট এগুলো হস্তান্তর করা হয়।