ছবি: সংগৃহীত
তামার বিষ
যে টুকু অর্থ পেয়ে মানুষ অমানুষ হয়ে যায়
সে টুকু অর্থবিত্ত দিও না আমায়।
বাংলা ভাষায় একটা প্রবাদ আছেÑ “তামার বিষ”
সেই তামার বিষে যেন না ধরে আমায়।
এতো টাকা দিয়ে আমি করবো কী, যে টাকা পেলে
নিজের উত্তরাধিকার নাম লিখাতে যায়
অলস ভবঘুরে আর বখাটেদের খাতায়
এতো ধনের মালিক তুমি করো না আমায়।
টাকার অহংকারে বউ ছুটবে হাটে, গয়নাঅলার সাথে
বলবে কথা হেসে
শাড়ি চুড়ি জুতোর দোকান, বিক্রেতারা দাঁড়িয়ে গা ঘেসে
ভাবি ডেকে জুতো বিক্রির ছলে হাত বুলাতে চাইবে পায়Ñ
অর্থের কুপ্রভাব যদি পেয়ে বসে আমায়।
ভাত ছিটালে কাক আসে, টাকা উড়ালে মেয়ে মানুষের
হয় না অভাব
ঈষৎ হেসে তুলে দেবে সবুজ গেলাসে রঙিন সরাব
নগরনটীর দল। কিছু তোষামোদকারী চাটুকার
সামনে দেবেই স্যালুট-পেছনে লাত্থি দেখাবে অবলীলায়।
এতো দৌলত দিয়ে আমি করবো কী, তামার বিষে
যেন না ধরে আমায়।
একরোখা
যে আমায় চিনতে পারে আমি তারেই চিনি
যে আমার মূল্য জানে, আমি তারেই জানি
হোক সে অচল মূল্যহীন, তবু মূল্য দিয়ে কিনি।
যে আমায় ভুলে যায় আমি তারেই ভুলে থাকি
তার সকল স্মৃতি গোপন সিন্ধুকে যত্নে তুলে রাখি
স্নিগ্ধ মুখের মধুর বচন কালো পর্দায় ঢাকি।
যে আমায় বলেছিল একলা থেকো, চাইনা তো তার সঙ্গ
পণ করেছিলাম সঙ্গী হবো, হোক না সে পণ ভঙ্গ
জীবনসংসার-সে তো পণ ভাঙ্গারই স্থান, মঞ্চরঙ্গ।
বলেছিল সে-জীবে সদয় হও, মেরো না পশু
ধর্ম চুলোয় যাক, আমি নিজেই নিজের যীশু
একরোখা এক মানুষ আমি, মুখোশধারী পশু।
বহুমাত্রিক.কম