Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

আশ্বিন ১ ১৪৩২, বুধবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রামকৃষ্ণ মিশনে হুমকি, ঢাকার পাশেই দিল্লি

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ১৮ জুন ২০১৬

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

রামকৃষ্ণ মিশনে হুমকি, ঢাকার পাশেই দিল্লি

ঢাকা : ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে জঙ্গি- হুমকির ঘটনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে কথা বলেছেন। আবার এ দিনই বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারন সম্পাদক স্বামী সুহিতানন্দ এবং জনসংযোগের ভারপ্রাপ্ত স্বামী শুভকরানন্দ দিল্লি এসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

ঢাকায় ভারতীয় হাই-কমিশন, সাউথ ব্লকে বাংলাদেশ বিষয়ক যুগ্মসচিব, সর্বোপরি বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ রেখে চলা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব ভাস্কর খুলবে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ঘটনার অনুসন্ধান করছে নয়াদিল্লিও।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার হাই-কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছেন, ‘‘হুমকি চিঠি আসার পর আমরা রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলছি। বাংলাদেশ পুলিশ এবং বিদেশ মন্ত্রককেও সতর্ক করা হয়েছে। আমাদের হস্তক্ষেপের পর বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সকালে হাইকমিশনের এক উচ্চপদস্থ কর্তা রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এসেছেন।’’ রাতে শ্রিংলা নিজেও যান মিশনে।

রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীকে খুনের হুমকি দেওয়া কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বলেই মনে করছে বিদেশ মন্ত্রক। এ ব্যাপারে একটি নির্দিষ্ট নকশা পাওয়া যাচ্ছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক অতীতে সংখ্যালঘু হত্যার ঘটনাগুলি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। নিশানা করা হচ্ছে তাঁদেরই, যাঁরা হিন্দু ধর্ম চর্চার সঙ্গে যুক্ত। সম্প্রতি বৃদ্ধ পুরোহিত আনন্দগোপাল গঙ্গোপাধ্যায়কে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরেই রামকৃষ্ণ মিশনের বিভিন্ন কেন্দ্রে ফোন করে বা চিঠি পাঠিয়ে সন্ন্যাসীদের খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। গত বছরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঢাকায় গিয়ে মতিঝিলের এই রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়েছিলেন। সেখানে কিছু ক্ষণ ধ্যানও করেছিলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রত্যেক বছর দুর্গাপুজোর সময় এই মিশনে আসেন।

বিদেশ মন্ত্রক বলছে, ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা যে ভাবে ভারত-বিরোধী জঙ্গিদের দমনে পদক্ষেপ করেছেন, ইসলামি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এখনও অভিযান চালাচ্ছেন, তাতে মনোবলে চিড় ধরেছে জঙ্গি জামায়াতের। বিশেষ করে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সোনা-পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়েছিল হাসিনা সরকার।

বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার ব্যাখ্যা, ‘‘মনোবল ভেঙে গেলে সর্বত্রই পাল্টা চোরাগোপ্তা হামলা, হুমকি দিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর পথে নেয় জঙ্গিরা। কাশ্মীর বা উত্তরপূর্বাঞ্চলের জঙ্গিদের ক্ষেত্রেও এই প্রবণতা দেখা যায়।’’

আনন্দবাজার পত্রিকা

Walton Refrigerator cables
Walton Refrigerator cables