
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা গাড়াবাড়িয়া উপজেলার ছাগলাপাড়ার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী উপমা খাতুন। অসচ্ছল পরিবারে বিয়ে হওয়ার পর সংসারের দুর্দশার জন্য ফিরে যেতে হয় বাবার বাড়িতে।
কিন্তু মা’য়ের পরামর্শে কিছু সময় পর আবারও ফিরে আসেন স্বামীর সংসারে। সংসারের দারিদ্র ঘুঁচাতে মা একটি গাভী দিয়ে দেন। এই গাভীই উপমার ভাগ্য খুলে দেয়।
উপমা গাভী পালন শুরু করেন আরো ৩০ বছর আগে। ৫ম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় উপমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানতে পারেন স্বামীর পরিবার অস্বচ্ছল। তাই সংসার রেখে বাবার বাড়ি ফিরে গিয়ে পুনরায় লেখা পড়া শুরু করেন। পরে গ্রামের স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন উপমা। এর মাঝে হঠাৎ একদিন বাবা মারা যান। উপমার বাবা মারা যাওয়ার পর মা লুৎফন নেছার কথামত পুনরায় স্বামীর সংসারে ফিরে আসেন।
স্বামীর বাড়ি আসার সময় মা’য়ের দেওয়া গাভীর নিয়ে শুরু হয় উপমার নতুন পথচলা। এই গাভীই এক সময় খামারে রূপান্তরিত হয়। প্রতিদিন প্রায় ১ মণ দুধ বিক্রি করেন উপমা। এই খামারের আয় থেকেই চলছে তাদের পুরো পরিবার।
এই খামারের আয় দিয়েই উপমা দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ছোট মেয়ে উম্মে হাবিবা চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের অনার্স শেষ বর্ষে পড়ছে।
গরুর খামারের পাশাপাশি উপমার রয়েছে হাঁস-মুরগি ও ছাগলের খামারও। উপমা জানান, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ খামার আরো সম্প্রসারিত করতে পারতেন। ক্ষোভ রয়েছে প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে সহযোগীতা না পাওয়ার জন্যেও।
তিনি জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ৩০ বছরে মাত্র ১ বার অনুদান পেয়েছি। আরো অনুদান পেলে একটি আধুনিক খামারের রূপান্তরের স্বপ্ন রয়েছে তার।
বহুমাত্রিক.কম