ছবি : বহুমাত্রিক.কম
গাজীপুর : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নে জনবসতি এলাকা তালতলি মুরগীর বাজার এলাকায় কাঠ পুড়ে কয়লা তৈরি করা হচ্ছে। এর নির্গত ধোঁয়ায় জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, জনবসতি এলাকা তালতলি মুরগীর বাজার পেপার কারখানার পাশে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে হাবিবুর প্রধানের জমি ভাড়া নিয়ে কয়েকজন অসাধু কাঠ ব্যবসায়ীর যোগসাজশে কয়লা ভাটাটি নির্মাণ করে কয়লা তৈরির করে ব্যবসা করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জনবসতিপূর্ন এলাকায় নির্মাণ করা কয়লার ভাটায় বিশাল আকৃতির নয়টি চুলার গুমবজ বসানো হয়েছে। এসব চুলাগুলো থেকে নির্গত হচ্ছে ধোঁয়া। কয়লাভাটার দায়িত্বে রয়েছে উপজেলার জালাল উদ্দিনে ছেলে আজিজুল হক (৩৩), জয়নাল মিয়ার ছেলে জাকির (৪৫),আব্দুল হাই এর ছেলে মুজিবর রহমান (৪০),জালাল উদ্দিনের ছেলে ফরজুল হক নামে চার জন ব্যবসায়ী রয়েছে।
জালাল উদ্দিনে ছেলে আজিজুল হক জানান, প্রতিমাসে প্রায় ৪ হাজার মণ কাচা কাঠ পোড়ানো হয় এ কয়লা ভাটায়। স্থানীয়ভাবে বেপারীদের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গা থেকে এ কয়লা ভাটার জন্য গাছ কিনে আনা হয়।
ওই কয়লার ভাটা সংলগ্ন এলাকায় বসবাস কারী স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই কয়লার ভাটা চালু হওয়ার পর থেকেই শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহসহ নানা রোগে ভুগছেন তারা। নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন বলেন,পাশেই বিশাল গজারি বন রয়েছে। রাতের আধারে অনেক গজারি গাছ কেটে পোড়ানো হয়। এবং ওই চার কয়লা ব্যবসায়ীর কিছু লোক বেতনে রাখা রয়েছে, যারা রাতে আধারে চুরি করে গজারি বনের গাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে আনেন, এতে করে বিলিন হয়ে যাচ্ছে গজারি বন।
এই কয়লা ভাটার ১শ’ মিটার এলাকার মধ্যে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি হাইস্কুল, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও এই কয়লাভাটার ১শ’ মিটারের মধ্য বসবাসকারী জনসংখ্যার পরিমান প্রায় ২ হাজারেও বেশি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার কয়েক ব্যাক্তি বলেন, জনবসতিপূর্ণ এলাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার সংলগ্ন ও ফসলি জমিতে কয়লাভাটা নির্মাণ করে কাঠ পোড়ানোর কারণে বন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ বিনষ্টকারী ওই কয়লার ভাটাটি উচ্ছেদের দাবি জানান তাঁরা।
তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নাসির উদ্দিন ও তারেক হাসান (বাচ্চু) মেম্বার জানান,আমরা অনেক বার চেষ্টা করেও বন্ধ করতে পানিনাই, এই ব্যবসায় অনেক উপরের লোক শেল্টার দিচ্ছে। তবে এটা বন্ধ হয়ে যাক এর দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনা আকতার-কে ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
বহুমাত্রিক.কম