শতকরা ৬০ ভাগ বাস ভাড়া বাড়িয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটের শুনানি বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে।গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব বিচারপতি জে বি এম হাসানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট আবেদন দাখিল করেন।
পরের দিন মঙ্গলবার রিটের আংশিক শুনানি হয়। এ বিষয়ে আরো শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য থাকলেও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ডকুমেন্ট উপস্থাপন করার ফলে বিষয়টি দেখার জন্য সময় নেওয়া হয়। তাই এ বিষয়ে শুনানি করতে বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মূখ্য সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব (সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ) এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানকে বিবাদি করা হয়।
চার যুক্তিতে এই রিট আবেদন করা হয়। রিট আবেদনে বলা হয়, কেবল বাসভাড়া বাড়ানো বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক ও নিপীড়নমূলক। কারণ গণপরিবহন বলতে বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও বিমানকে বোঝায়। এখানে অন্য কোনো পরিবহনের ভাড়া না বাড়িয়ে শুধুমাত্র বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছে যা বৈষম্যমূলক।
রিট আবেদনে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে কয়েকমাস ধরে সব কিছু বন্ধ। নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষরা মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। তারা কর্মহীন ও বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ অবস্থায় বাস ভাড়া বাড়ানো তাদের জন্য নিপীড়নমূলক ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ বাসে চলাচল করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা।
রিট আবেদনে বলা হয়, বাস ভাড়া বাড়াতে হলে যেসব প্রক্রিয়া অনুরণ করতে হয় তার কিছুই করা হয়নি। ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের মতামত নেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) করোনাকালীন গণপরিবহনের ভাড়া ৮০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করলেও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩১ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে।