প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পুড়েই চলেছে লা পালমা দ্বীপপুঞ্জ। আগ্নেয়গিরি থেকে ছড়িয়ে পড়া দূষিত কণা ও ছাইয়ের কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দ্বীপটির বিমানবন্দর। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে পুড়ছে লা পালমার দ্বীপপুঞ্জ। বৃহস্পতিবার রাতেও কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। পাহাড়ের গা বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে লাভা। এরইমধ্যে লাভার কারণে পুড়ে গেছে কয়েকশ বাড়িঘর। চলাচলের পথের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থাপনারও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে কয়েকদিন সচল থাকার পর আবারও স্থানীয় বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আগ্নেয়গিরি থেকে ছড়িয়ে পড়া দূষিত কণা ও ছাইয়ের কারণে বিমান চলাচলে বিগ্ন ঘটায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
দ্বীপপুঞ্জের পাশে থাকা একমাত্র বিমানবন্দরটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নেদারল্যান্ডস থেকে অনেকে। এক তরুণ বলেন, ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে কি না; সেটিই এখনো জানি না। আমি জানতে এসেছিলাম সেটিও সম্ভব হয়নি। আমার মনে হয় বিকল্প উপায়ে আমাকে যেতে হবে।
আরেক তরুণী জানান, এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ ফ্লাইট পরিবর্তনের জন্য আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছে। তবে এরপরেও যথা সময়ে বিমান চলাচল শুরু হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
এর আগে গেল মাসের ২৫ সেপ্টেম্বরেও দুষণের কারণে বিমান বন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়। গাছাপালা পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি মেঘের মাঝে ছাই ছড়িয়ে পড়ায় এই সিন্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
আগ্নেয়গিরি কুমব্রি ভিয়েহাতে ছড়িয়ে পড়া আগুনে গত এক সপ্তাহে কয়েক হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন লা পালমার পর্বতের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের মানুষ।
আগ্নেয়গিরিটি থেকে যে হারে লাভা নির্গত হচ্ছে তাতে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
