ছবি-সংগৃহীত
২৮ জুন ২০১৮। নাফিসা তাবাস্সুম সুখির জীবনের এক কালো দিন। সেদিনের ঘটে যাওয়া প্রলয় শিশুমনে যে বিরাট শূন্যতা ও বিষাদের সৃষ্টি করে তা কাটিয়ে ওঠা এতো সহজ ছিল না। অকালে পিতা হারানোর মতো বেদনা সয়ে কোমলমনে এক প্রতিজ্ঞাও দানা বেধেঁছিল ওর। প্রতিজ্ঞা ছিল পিতার স্বপ্নপূরণে ক্রমাগত এগিয়ে যাওয়া। এক বছর ছয় মাস ২দিন। জীবনের প্রথম সাফল্য ও আত্মপ্রত্যয়ী হওয়ারও দিন আজ তার।
পিতা হারানো ক্ষত বুকে নিয়ে বিষাদের এই দিনগুলিতেও একমাত্র ছোটভাই আবিরকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত স্কুলে গেছে সুখি। লেখাপড়ায় নিবিড় মনোযোগেই পরলোকগত পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চেয়েছে সে। পিতার সেই রাজকন্যা জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বেড়াইদেরচালা আইডিয়াল স্কুল থেকে সে গোল্ডেন জিপিএ-৫ লাভ করেছে।
শৈশব জীবনের এমন প্রাপ্তিতে আনন্দে যখন সুখির আত্মহারা হওয়ার কথা তখন সে হাতরে ফিরছে পিতার স্মৃতি। পিতা সেনা সদস্য আবদুর রউফ আজকের দিনে হয়তো সৈনিক জীবনের সব অর্জনের চাইতে রাজকন্যার এই প্রাপ্তিতে উদ্বেলিত হতেন, কৈশোরে পা বাড়ানো কন্যার তার অনুমান করতে একটুও ভুল হচ্ছে না। অশ্রুসজল সুখির কাছে আমাদের প্রত্যাশা, সাফল্যের এই তিলক তোমার ললাটে চিরভাস্বর হোক। পরীক্ষার সাফল্যই শুধু নয়, মানবিক মানুষ হওয়ার পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হও।
-তোমার কাকু
বহুমাত্রিক.কম