নগরীর পাঁচটি রুটে ই-টিকেটিং পরীক্ষা করে শিগগিরই তা পুরো ঢাকায় চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ। বুধবার রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জানান, কাউন্টারে একটি পজ মেশিন থাকবে, এর মাধ্যমে যাত্রীরা টিকেট কেটে গাড়িতে উঠবেন। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া যাতে আদায় না হয়, সেজন্য আমরা ই-টিকেটিং সিস্টেমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এজন্য একটি কোম্পানির সাথে আলোচনাও হয়েছে বলে জানান খন্দকার এনায়েতুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা ১০ থেকে ১৫ দিনের জন্য ঢাকার পাঁচটি সড়ককে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে নেব। সেখানে এ সিস্টেমের টিকেট বিক্রির পরীক্ষা করে দেখা হবে। আমরা যদি এই প্রজেক্টে সফলতা পাই, তবে আশা করছি পুরো ঢাকা শহরেই গণপরিবহনে ই-টিকেটিং সিস্টেম চালু হয়ে যাবে।’
এ সময় চলমান ওয়েবিল নিয়েও কথা বলেন খন্দকার এনায়েতুল্লাহ। ঘোষণা দিয়ে ওয়েবিল বন্ধ করা হলেও এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা এই অনিয়মগুলো দূর করার জন্য ঢাকা শহরের ১২০টি প্রতিষ্ঠানের এমডি-চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে এরই মধ্যে দুবার বৈঠক করেছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে ওয়েবিল থাকবে না। এরপর মালিকদের নিয়ে আবার বসতে হয়েছে। মালিকরা বলছে যে, ওয়েবিল বন্ধ করে দেয়ার পর তাদের যা ইনকাম আসত, তার তিন ভাগের এক ভাগ আসে। এতে তারা যাত্রীদের হিসাব পায় না।’
এ বিষয়ে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের নয়টি টিম বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে মিলে কাজ করছে।’