ছবি : বহুমাত্রিক.কম
খুলনা : খুলনায় সদ্য নির্মিত আধূনিক রেলস্টেশনের প্লাটফরম থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চলাচলের জন্য শনিবার পরীক্ষামূলক মহড়া দেয়া হয়েছে। বেলা ১১টা থেকে এই মহড়া শুরু হয়ে চলে দুপুর পর্যন্ত।
আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চলাচলের সময়ে খুলনা রেলস্টেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পরীক্ষামূলক চলাচলের সময়ে সবকয়টি লাইন দিয়ে রেল চালানো হয়। এ সময়ে লাইনের সার্বিক দিক পর্যবেক্ষণ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের মার্চ মাসের ৩ তারিখে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে খুলনা আধুনিক রেলষ্টেশনের উদ্বেধনী ফলক উন্মেচন করেন। কিন্তু তখন নির্মাণ কাজের পরিপূর্ণভাবে শেষ হয়নি। এর পর কেটে গেছে প্রায় সাড়ে ৭ মাস। বর্তমানে নবনির্মিত আধুনিক রেলষ্টেশনটি দিয়ে রেল চলাচলের জন্য সম্পূর্ন প্রস্তুত বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
খুলনা রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান আধুনিক রেলষ্টেশনের নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। টিকিট কাউন্টার, বিশ্রামাগারসহ আনুসঙ্গিক অন্যান্য কাজও শেষ। ঠিকাদারের কাছ থেকে বুঝে নিয়েই ট্রেন যাতায়াত শুরু হবে। ট্রেন চালুসহ স্টেশনের অপারেশনাল কাজ উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট সময় চাওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সময় দিলেই স্টেশনটি আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহার শুরু হবে।
খুলনা রেলওয়ে ষ্টেশনের উর্ব্ধতন উপ- সহকারী প্রকৌশলী ( ওয়ার্কস) মোঃ হাফিজুর রহমান এ বিষয়ে জানান, খুলনা রিমডেলিং রেলষ্টেশনের নির্মান কাজ সম্পূর্নভাবে শেষ হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ষ্টেশন এখনও বুঝে নেয়া হয়নি। কারণ ষ্টেশন বুঝে নিয়ে ব্যবহার না হলে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই যেদিন এটি ট্রেন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে সেদিন থেকেই কাজ বুঝে নেয়া হবে।
বৃটিশ আমলে নির্মিত খুলনার পুরাতন রেল স্টেশন দিয়ে যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হন খুলনার মানুষ। এ জন্য খুলনায় একটি আধুনিক রেলস্টেশন নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। এই দাবিতে বহুবার মিছিল, মানববন্ধন, স্মারকলিপি এমনকি হরতালও হয়েছে। সবশেষে ২০০৭ সালে তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি আধুনিক রেলস্টেশন নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে। এর নাম দেওয়া হয় ‘রিমডেলিং অব খুলনা রেল স্টেশন অ্যান্ড ইয়ার্ড’।
একাধিকবার সংশোধনের পর ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে স্টেশনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু ধীরগতির কারণে কয়েক দফায় প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়। সম্প্রতি এই কাজ শেষ হয়েছে। স্টেশন নির্মাণে মোট ব্যয় হয় ৬০ কোটি টাকা।
বহুমাত্রিক.কম