ছবি : বহুমাত্রিক.কম
গাজীপুর :জনবল সংকট আর অব্যবস্থাপনার কারণে বেহাল দশা গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সেই সঙ্গে ডাক্তার থাকলেও কর্মকর্তা কর্মচারী আসেন না। এতে গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সহ গ্রামীণ শিশু ও নারীদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।
উপজেলার কাওরাইদ গ্রামে নির্মাণ করা হয় ‘ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র’। এর কিছুদিন পরেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বদলী হয়ে যাওয়ায় জনবল শূণ্য হয়ে পড়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। বর্তমানে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শুধুমাত্র পরিদর্শক ছাড়া আর কেউ আসেন না।তিনিও মাত্র ঘণ্টাখানেক সময় থেকে আবার তালা দিয়ে চলে যান। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে আশপাশ ও দূরদূরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগিদের। এবিষয়ে অফিস সহায়ক আনিছুর রহমান কথা গুলো এরিয়ে গেলেও পরে বলেন আমি এখানে পিওনের কাজ করি,এর বেশি কিছু বলতে পারবোনা। আমার উপরের কর্মকর্তা রয়েছে তারা ভালো বলতে পারবে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কাওরাইদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিতেক্ত ভবনের ভিতরে গরু,ছাগলের বসবাস,রুমের ভিতরে লাকরী আর পাতার বস্তা দিয়ে ভরে রেখেছে এলাকার লোকজন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সকল আসবাপত্র ভাংগা অচল অবস্থা।
স্থানীয়রা জানান, দির্ঘ দিন যাবৎ এই অবস্থা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের। সন্ধা হলেই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ঘরের ভিতরে মাদক সেবনকারিদের আড্ডা চলে রাতভর। মাদক বিক্রি থেকে শুরু করে নানা অপকর্ম হয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভিতরে। কেও কিছু বলার সাহস পায়না। সবাই ওদেরকে ভয় পায়। তবে প্রশাসনের লোক যদি ব্যবস্থা নিতো তাহলে মাদক সেবিদের উতপাত কমে যেত। আমরাও শান্তিতে বসবাস করতে পারতাম।
ডাক্তার ফজলুল হব বলেন,আমি কাজ করি শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে,কাওরাইদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ডাক্তার ছিল টাঙ্গাইলের,তিনি অসুস্থ থাকার কারনে আসতে পারছেনা। কিন্তু স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভিতরে রাতে জুয়া,ইয়াবা বরি,গাজাসহ কসল ধরনের অপরাধমুলক কর্মকান্ড হয়।
শ্রীপুর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা:ময়নুল হক জানান,উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বহুমাত্রিক.কম