লিওনেল মেসিদের পাশেই হবে ক্রিকেট ম্যাচ। বার্সেলোনা শহরে ক্রিকেট চালু করতে ৩০ মিলিয়ন ইউরোর প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যেখানে এরই মধ্যে নারী ক্রিকেটাররা শুরু করেছেন অনুশীলন। যার বেশির ভাগ ভারত এবং পাকিস্তান থেকে যাওয়া অভিবাসী। এরই মধ্যে নারীদের জন্য মাঠ এবং ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা। এই একটি ক্লাব গোটা শহরকে পরিচয় করে দিয়েছে বিশ্ব দরবারে। ফুটবলকে কেন্দ্র করে স্বপ্ন দেখে প্রতিটি যুবক। মেসির নৈপুণ্য দেখতে জোয়ার নামে ন্যু ক্যাম্পে। সেই শহরেই নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন কিছু তরুণ তরুণী। না ফুটবল কিংবা মেসিকে ঘিরে নয়। স্বপ্নটা ক্রিকেটকে ঘিরে।
একটু অবাক হলেও এখন এটাই বাস্তবতা। মেসিদের পাশে ক্রিকেট খেলবেন শহরের তরুণ-তরুণীরা। তবে অবাক করা ব্যাপার হলো ফুটবলকে ঘিরে যাদের জীবন-মরণ সেই শহরে মানুষের ভোট পড়েছে এবার ক্রিকেটের দিকে। ২ হাজার প্রজেক্টের মাঝে অন্যতম জনপ্রিয়তা পেয়েছে ক্রিকেট প্রজেক্টটি।
৩০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করা হবে প্রজেক্টটি বাস্তবায়নে। যেখান এক দশমিক ২ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে পাবলিক প্লেস তৈরি করা হবে ক্রিকেট মাঠ। প্রজেক্ট বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছেন কার্ল ব্রুয়েল। তিনি বলছেন, নারী ক্রিকেটকে দেওয়া হচ্ছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব।
কার্ল ব্রুয়েল বলেন, আমরা ক্রিকেটকে অ্যাক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটি হিসেবে প্রতিটি স্কুলে ছড়িয়ে দিয়েছি। সুতরাং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েরা এখন ক্রিকেট খেলবে। তবে এটি এখন শুধু বিদেশি খেলা হিসেবে থাকবে না। এই মেয়েরা পেশাদারভাবে ক্রিকেট খেলবে। তারা অন্যদের উৎসাহ দিচ্ছে খেলায় আসতে। তারা হবে বার্সেলোনায় ক্রিকেটের প্রথম প্রজন্ম।
বার্সেলোনায় ক্রিকেটের শুরুটা করেছেন মূলত ভারত এবং পাকিস্তান থেকে স্পেনে যাওয়া অভিবাসীরা। দীর্ঘদিন থেকে যারা সেখানে বসবাস করছেন তাদের সন্তানরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন খেলায়। তারা বলেন, আমাদের স্বপ্ন এখন বাস্তবায়ন হচ্ছে। আমরা ভোটাভুটিতে জিতেছি। আমরা কয়েক সপ্তাহ মানুষকে উৎসাহী করেছি প্রজেক্টটির ব্যাপারে। আমরা এখন ক্রিকেট মাঠ পাব খেলার এবং অনুশীলনের জন্য।
কেউ বলেন, আমি অল্প কিছু দিন এখানে খেলছি। আমি ক্রিকেট দেখতে পছন্দ করতাম। তবে আমার বন্ধু আমাকে এখানে খেলতে আসার জন্য বলেছে। আমি যোগ দিয়েছি। খুবই ভালো লাগছে।
নিজের ব্যবসার পাশাপাশি কোচিং করান শাহবাজ শাওকদ। তার মতে, কাতালান প্রশাসনের এমন উদ্যোগ বার্সেলোনায় ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নেবে। তিনি বলেন, আমরা খুবই খুশি। এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে আমরা নিজস্ব মাঠে অনুশীলন করার সুযোগ পাব। আমাদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা হবে। সত্যি এটা অসাধারণ। বার্সেলোনায় ক্রিকেট খুব দ্রুত এগিয়ে যাবে।
ধীরে ধীরে ক্রিকেট স্প্যানিশদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলেও মনে করেন তারা।