করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের জীবনধারা হঠাৎ অনেকটাই বদলে গেছে। নানা বিধিনিষেধে ধর্মীয় অনুশাসন পরিপালনও যেন হয়ে গেছে কঠিন। এমন অবস্থায় জার্মানির বার্লিনে মুসলিমদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়। স্বাস্থ্য বিধি মেনে নামাজ পড়তে গিয়ে মসজিদে মুসল্লিদের জায়গা না হওয়ায় খুলে দিয়েছেন তাদের চার্চ। আর এই চার্চে চলছে নামাজ পড়া। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় চর্চাও।বার্লিনের ওই চার্চ যেন আবার বাংলার মধ্যযুগের এক কবি বড়ু চণ্ডীদাসের কবিতার চরণকে নতুনভাবে তুলে ধরেছে, সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।
জানা গেছে, জার্মানিতে করোনাভাইরাস মহামারি অনেকটাই সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। তাতে শিথিল করা হয়েছে লকডাউন খুলে দেওয়া হয়েছে মসজিদ, চার্চসহ ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো। তবে শর্ত হচ্ছে, করোনার স্বাস্থ্য বিধি মেনেই কেবল এসব উপাসনালয়ে যাওয়া যাবে। মসজিদে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে মানতে হবে ন্যুনতম ৩ ফুট শারীরিক দূরত্ব মেনা চলার শর্ত। তাতে মসজিদে আগের চেয়ে কম মানুষের জায়গা হচ্ছে। কিন্তু শুক্রবারে সবাই মসজিদে এসেই জুমার নামজ পড়তে চায়।
বার্লিনের নিউকলিন জেলার দার-উস-সালাম মসজিদে সাধারণ সময়ে কয়েকশ মুসল্লি নামাজ পড়তে পারতেন। কিন্তু স্বাস্থ্য বিধির শর্তের কারণে বর্তমানে মসজিদটিতে মাত্র ৫০ জনের নামাজ পড়ার সুযোগ আছে।
এমন অবস্থায় পাশের মার্থা লুথারান চার্চ কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসেন মুসলিমদের উপাসনায় সহায়তা করতে। তারা চার্চটি মুসলমানদের নামাজ পড়ার জন্য খুলে দেন। তাতে জুমার নামাজ পড়ার সংকট অনেকটাই কেটে যায়।
এ ঘটনায় স্থানীয় মুসলিমরা বেশ আনন্দিত। দার-উস-সালাম মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ তাহা সাবরি এই ঘটনায় বেশ উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, রমজানের এমন দিনে জুমার নামাজ পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার বিষয়টি অনেক আনন্দের। করোনার সংকট আমাদেরকে আরও একাত্ম হতে উদ্বুদ্ধ করেছে।