
ছবি: সংগৃহীত
যুদ্ধাহতদের পাশে দাঁড়াতে আকস্মিক সফরে ইউক্রেন গিয়েছেন প্রিন্স হ্যারি। শুক্রবার এক বিশেষ ট্রেনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছান তিনি। যুদ্ধে গুরুতর আহতদের সহায়তা দেওয়া একটি সংস্থার আমন্ত্রণে প্রথমবারের মতো কিয়েভ গেলেন বৃটেনের এই রাজপুত্র। যুদ্ধাহত সেনা ও সাধারণ মানুষের পুনর্বাসনে যতটা সম্ভব সহায়তা করতে চান বলে জানিয়েছেন হ্যারি। সফরের পুরো সময়টাই তিনি নানা ব্যস্ততায় পার করবেন। তবে এখনও এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, সুপারহিউম্যান নামের একটি সংস্থার আমন্ত্রণে কিয়েভ গিয়েছেন প্রিন্স হ্যারি। সংস্থাটি যুদ্ধাহতদের কৃত্রিম অঙ্গ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ওলহা রুদনিয়েভা কিয়েভে ট্রেন থেকে নামার সময় ডিউক অব সাসেক্সকে স্বাগত জানান এবং তাকে একটি ঐতিহ্যবাহী ইউক্রেনীয় চায়ের গ্লাসহোল্ডার উপহার দেন। এর আগে গত এপ্রিলে প্রিন্স হ্যারি লভিভে সংস্থার একটি কেন্দ্র সফর করেন। তবে এবারই প্রথম কিয়েভ সফরে গিয়েছেন তিনি।
রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার হামলায় ইউক্রেনে হাজার হাজার মানুষ হাত-পা হারিয়েছেন। যাদের মধ্যে সেনা সদস্যরাও রয়েছেন। যদিও এখন পর্যন্ত তাদের সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। দ্য গার্ডিয়ানকে হ্যারি বলেন, আমরা যুদ্ধ থামাতে পারি না, কিন্তু পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে পারি। যুদ্ধের শিকার মানুষগুলোর কষ্ট বিশ্ববাসীকে জানানো দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হ্যারির সঙ্গে তার ইনভিক্টাস গেমস ফাউন্ডেশন- এর একটি প্রতিনিধি দলও রয়েছে। যারা আহত সেনাদের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করে। ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির বিশেষ অনুমতিতে ইউক্রেনের একটি দল এই গেমসে অংশ নেয়। এছাড়াও প্রিন্স হ্যারির দাতব্য সংস্থা আর্চওয়েল গত বুধবার জানিয়েছে যে তারা ইউক্রেন ও গাজার আহত শিশুদের সহায়তায় ৫ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে। এই অর্থে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও কৃত্রিম অঙ্গ তৈরির কাজ চলবে।
বৃটিশ রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও ইউক্রেনের পাশে আছেন। রাজা চার্লস মার্চে জেলেনস্কিকে তার বাসভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। প্রিন্স হ্যারির ভাই প্রিন্স উইলিয়ামও ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। এই সফরের আগে বুধবার প্রিন্স হ্যারি তার পিতা রাজা চার্লসের সঙ্গে লন্ডনে সাক্ষাৎ করেন। যা ছিল তাদের মধ্যে ফেব্রুয়ারির পর প্রথম সাক্ষাৎ।